• পাণ্ডুয়ায় নবম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু, খুনের অভিযোগ
    বর্তমান | ১৮ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: বিশেষভাবে সক্ষম নবম শ্রেণির এক পড়ুয়ার মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। পাণ্ডুয়ার বাসিন্দা ওই পড়ুয়াকে পুলিস মঙ্গলবার রাতে দিগসুঁই-হোয়েরার জি টি রোড থেকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে ওই কিশোরের পরিবার তাকে মগরা হাসপাতাল থেকে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু শেষ অবধি তাকে বাঁচানো যায়নি। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম অর্পণ পণ্ডিত (১৬)। তার বাড়ি পাণ্ডুয়ার খন্যানের পণ্ডিতপাড়ায়। ওই ঘটনায় মৃতের পরিরবার ছেলের তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে। যদিও বুধবার রাত পর্যন্ত এনিয়ে কোনও অভিযোগ পাণ্ডুয়া থানায় দায়ের হয়নি। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিস জানিয়েছে, পথ দুর্ঘটনার জেরেই ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।


    মৃতের দিদি পূজা ধাড়া বলেন, ভাইয়ের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ছিল। তাকে তার বন্ধুরাই দিগসুঁইতে রথ দেখাতে নিয়ে গিয়েছিল। আমাদের ধারণা, পরিকল্পনা করেই তাকে খুন করা হয়েছে। পুলিস তদন্ত করুক। অর্পণের বন্ধু মহাদেব ধাড়া মঙ্গলবার রাতে তার সঙ্গে ছিল। তার মা আলপনা ধাড়া বলেন, ছেলের কাছ থেকে বাইক নিয়ে অর্পণ চলে গিয়েছিল। মহাদেব ওর খোঁজ না পেয়ে বাড়ি ফিরে আসে। তারপর জানা যায়, ও বাইক দুর্ঘটনায় জখম হয়েছে। আমার ছেলে ডেকরেটারের কাজ করে সংসার চালায়। ও কেন খুন করতে যাবে? প্রায় একই দাবি করেছেন অর্পণের আরেক সঙ্গী বাপ্পা ধাড়ার দাদা বিকাশ ধাড়া। তিনি বলেন, হোয়েরার রথের মেলায় গিয়ে অর্পণ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। তাই ভাই সহ বাকি দুই বন্ধু ফিরে আসে। খুনোখুনির অভিযোগ ভিত্তিহীন। জানা গিয়েছে, অর্পণ ইটাচুনা শ্রীনারায়ণ ইনস্টিটিউশনের নবম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল। মঙ্গলবার রাতে সে তার তিন বন্ধু বাপ্পা ধাড়া, মহাদেব ধাড়া ও অপু ধাড়াকে নিয়ে দিগসুঁই-হোয়েরায় রথের মেলায় গিয়েছিল। পরিবারের দাবি, অনেক রাতেও অর্পণ না ফেরায় তার বাবা ধনঞ্জয় পণ্ডিত পাড়ার চৌমাথার মোড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। রাতে দিকে সেখানেই অর্পণের তিন বন্ধু অটো থেকে নামে। তিনি তাদের কাছে ছেলের বিষয়ে জানতে চাইতে তারা সদুত্তর দিতে পারেনি বলে অভিযোগ। এরপরেই ছেলের বন্ধুদের নিয়েই তিনি পাণ্ডুয়া থানায় যান। সেখানে ধনঞ্জয়বাবু জানতে পারেন, তাঁর ছেলে জখম অবস্থায় মগরা হাসপাতালে ভর্তি। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে জি টি রোড থেকে জখম অবস্থায় ওই কিশোরকে মগরা হাসপাতালে পুলিসই ভর্তি করেছে। রাতেই ওই কিশোরকে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও সে বাঁচেনি। এরপর বুধবার সকাল থেকেই অর্পণের পরিবার ছেলেকে খুন করার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)