বাড়ির সুইমিং পুলে কচ্ছপ! সোনারপুরের জামালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের পথে বনদপ্তর
প্রতিদিন | ১৮ জুলাই ২০২৪
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ঠিক যেন সোনারপুরের শাহজাহান। ‘কুকীর্তি’ সামনে আসার পর থেকেই সাম্রাজ্য ছেড়ে ‘পলাতক’ জামাল। বুধবার তাঁর বিরুদ্ধে সোনারপুর থানায় দায়ের হয় নতুন অভিযোগ। জামালের বাড়ির সুইমিং পুলে কচ্ছপ পাওয়া গিয়েছে। তাই তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করছে বনদপ্তর।
এলাকায় জমিজমা কেনাবেচা বা দাম্পত্য কলহ কিংবা পারিবারিক সমস্যা সবকিছুরই সমাধান জামাল ছাড়া হয় না। সোনারপুর থানার পুলিশের সঙ্গেও তার ওঠাবসা রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকার লোকজনের। এই ভয় দেখিয়েই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াত জামাল। বাড়িতেই বসত সালিশি সভা। সেখানেই চলত বিচার। জামালই বিচারক! যারা তাঁর প্রস্তাবে রাজি হত না তাঁদের উপর অত্যাচার চালানো হত বলে অভিযোগ। ভুরি ভুরি অভিযোগ ওঠায় এখন জামালকে খুঁজছে সোনারপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা কেউই জামালের আয়ের উৎস বলতে পারেননি। তবে একাংশের দাবি, জমি প্রোমোটিং, ফেরাজি জমি বিক্রি করা, বিচার পাইয়ে দেওয়ার নামে তোলাবাজি এবং জমি বিক্রি এসব করেই নাকি পেট চলে তাঁর। তবে প্রাসাদোপম বাড়ির মালিক জামাল। ভিতরে এলাহি ব্যাপার। গৃহস্থের বাড়ি নাকি রিসর্ট, তা বোঝা দায়। বাড়ির ভিতর ও বাইরে মিলিয়ে মোট ৫০ টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। বাড়ির মধ্যে রয়েছে সুইমিং পুলে।
সেই সুইমিং পুলে আবার চড়ে বেড়াচ্ছে কচ্ছপ। বনদপ্তরের নিয়ম বলছে, কচ্ছপ রাখা বেআইনি। তা সত্ত্বেও জামাল সর্দার বাড়িতে কীভাবে কচ্ছপ রাখলেন, উঠছে প্রশ্ন। জামালের পোষ্য ঘোড়াও রয়েছে। তার দেখাশোনা করার জন্য রয়েছে আলাদা লোক। মাসিক ১০ হাজার টাকার বেতন পান তিনি। এছাড়া বাড়িতে কমপক্ষে ৬ জন পরিচারিকা রয়েছে তাঁর। সোনারপুরে পৃথক জগৎ গড়ে তোলা জামালের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি।