• মানিকচকে পথ অবরোধ ঘিরে গণ্ডগোল, জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ,জখমআইসি
    এই সময় | ১৮ জুলাই ২০২৪
  • আবারও পুলিশের উপরে আক্রমণের অভিযোগ। এবার অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের উপরে আক্রমণ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থল মালদার মানিকচক থানার এনায়েতপুর। পুলিশের গাড়িতেও ভাঙচুর চালান হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পালটা অবরোধকারীদের অভিযোগ, পুলিশের গুলিতে জখম হয়েছেন ২ জন। তাঁদের স্থানীয় হাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ৩ জন পুলিশ কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা হচ্ছে। জেলা পুলিশের কাছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন।জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ নিয়ে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। মানিকচক এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিনে কখনও কখনও বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও, রাতের দিকে সংযোগ থাকেই না। ফলে প্রচণ্ড গরমে রীতিমতো নাজেহাল হতে হয় তাদের। এমনকী ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজও করা যায় না। তীব্র গরমে কয়েক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলেও অভিযোগ। এই বিষয়ে বিদ্যুৎ দফতরকে বারেবারে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। লাগাতার এই অবস্থা চলার পর এদিন ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যায় তাদের। এরপরেই রাস্তা অরোধের সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। একসঙ্গে মানিকচকের বেশকয়েকটি জায়গায় করা হয় অবরোধ। মালদা-চাঁচল রাজ্য সড়কেও করা হয় অবরোধ। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। আর তারপরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশের উপরে চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। এমনকী পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুরও চালান হয় বলে অভিযোগ। পরে উলটে দেওয়া হয় গাড়িটি। পরে মানিকচক থানার আইসি পার্থসারথী হালদার বড় বাহিনী নিয়ে গেলে তিনিও আক্রান্ত হন।

    এদিকে এই ঘটনায় মালদা বিদ্যুৎ দপ্তরের ডিভিশনাল ম্যানেজার শঙ্খদীপ ভট্টাচার্য বলেন, 'সার্কিটটা বহুদিনের পুরনো, তবে টান্সমিশন লাইনটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। শুক্রবারের মধ্যে অর্ধেক অংশে ওটাকে আমরা চার্জ করার ব্যবস্থা নিচ্ছি। এলাকাজুড়ে অনেক বেশি কানেকশন রয়েছে, কিন্তু লোড ক্যাপাসিটি অনেকট কম। সেই কারণে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে বিষয়টি আমরা নজরে রেখেছি। আমরা সমস্ত টেকনিক্যাল বিভাগকে নিয়ে আজকে (বৃহস্পতিবার) জরুরি বৈঠকে বসব।

    এদিকে জেলার সামসিতেও এদিন পুলিশকে ধাক্কাধাক্কির অভিযোগ ওঠে। জানা গিয়েছে, ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের জিয়াগাছি এলাকায় ডাম্পার ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাক চালকের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকলেও পুলিশের কোনও হেলদোল দেখা যায়নি। এরপরেই উত্তেজিত জনতা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। সেই সময় এক পুলিশ কর্মীকে ধাক্কা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এই বিষয়ে চাঁচল থানার এক আধিকারিক দীবনন্ধু দাস বলেন, 'গ্যাস কাটার আনা হয়েছে। একজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আরও একজনের পা আটকে রয়েছে, তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তারপরেও পুলিশের উপরে হামলা হচ্ছে।'
  • Link to this news (এই সময়)