কচ্ছপ উদ্ধারে রাতেই জামালের বাড়িতে বনদপ্তর, ফিরতে হল খালি হাতেই
এই সময় | ১৮ জুলাই ২০২৪
সোনারপুরে মহিলাকে শিকলে বেঁধে অত্যাচারের ঘটনায় অভিযুক্ত জামালউদ্দিন সর্দার ওরফে জামাল সর্দারের বাড়িতে বনদপ্তর। জামালের বাড়ির সুইমিংপুলে কচ্ছপ রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানার পরেই সেই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল বনদপ্তর। আর সেই মতো বুধবার রাতেই জামাল সর্দারের বাড়ির সুইমিং পুলে থাকা কচ্ছপ উদ্ধারে তৎপর হন বনদপ্তরের কর্তারা। ডিএফও মিলন মণ্ডলের নির্দেশে বারুইপুর রেঞ্জ অফিস থেকে ৬ সদস্যের একটি দল প্রথমে সোনারপুর থানায় পৌঁছয়। তারপর সেখান থেকে তাঁরা যান জামাল সর্দারের বাড়িতে। তাঁদের হাতে ছিল জাল ও কচ্ছপ উদ্ধারের অন্যান্য সামগ্রী। কিন্তু সেই সময় জামালের বাড়ির গেটে তালা দেওয়া ছিল। চাবিও পাওয়া যায়নি। ফলে রাত দশটা থেকে প্রায় সাড়ে এগারোটা অবধি অপেক্ষা করে ফিরে যান বনদফতরের কর্তারা। সেক্ষেত্রে কচ্ছপটি এখনও সুইমিংপুলে আছে না, সেটিকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে, উঠতে শুরু করেছে সেই সমস্ত প্রশ্ন।উল্লেখ্য, বাড়িতে কচ্ছপ রাখার বিষয়ে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন ডিএফও মিলন মণ্ডল। জামাল সর্দারের বিরুদ্ধে ওয়াইল্ড লাইফ প্রোটেকশন ধারায় মামলাও রুজু হবে বলে জনিয়েছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, জামাল সর্দারের বাড়িতে যে কচ্ছপটিকে দেখা গিয়েছে সেটির বিজ্ঞানসম্মত নাম ইন্ডিয়ান সফ্ট শিল্ড টার্টেল। বেআইনিভাবে সেই কচ্ছপটিকে বাড়ির সুইমিংপুলে রাখার জন্য তিন থেকে সর্বোচ্চ সাত বছরের পর্যন্ত জেল এবং ২৫ লক্ষ টাকার জরিমানা হতে পারে বলে জানান ডিএফও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৬ সালে প্রায় এক বিঘারও বেশি জমির উপর প্রাসাদোপম বাড়ি তৈরি করে জামাল। নিরাপত্তার স্বার্থে ৫০টিরও বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা ইনস্টল করা হয় গোটা বাড়িতে। তাছাড়াও বাড়িতে রয়েছে আধুনিক সমস্ত সুযোগ সুবিধা। সম্প্রতি একটি ঘোড়া কেনে জামাল। তবে জামালের বাড়ি বৈধ কি না তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতাপনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দেবনাথ দত্ত।
প্রসঙ্গত, সোনারপুরের বাসিন্দা জামাল সর্দারের বিরুদ্ধে মহিলাকে শিকলে বেঁধে অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি সামনে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে যায় গোটা এলাকায়। যদিও অভিযুক্ত জামাল সর্দার এখন পলাতক। তার সন্ধানে নানা জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই একাধিকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। আর এবার জামালের বাড়িতেও পৌঁছে গেলেন বনদপ্তরের কর্তারা।