সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন ধরেই আগুন বাজার। সবজি কিনতে রীতিমতো ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে আমজনতাকে। দাম নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। অনেকেই সবজি কেনা কমিয়ে মাছ-ডিম-পোলট্রিতে ঝুঁকছিলেন। এই পরিস্থিতিতে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত রাজ্য পোলট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের। যার ফলে মুরগির জোগানে টান পড়ার আশঙ্কা। এক ধাক্কায় বাড়তে পারে দামও।
বিষয়টা ঠিক কী? জানা গিয়েছে, পোলট্রি ফার্ম থেকে মুরগি বাজারে আনার জন্য সাড়ে চার হাজারের বেশি গাড়ি রয়েছে যেগুলো সংগঠনের তালিকাভুক্ত। ওই গাড়ি করে মুরগি আনার সময় রাতের অন্ধকারে পুলিশি জুলুমের মুখে পড়তে হয় চালকদের। নিয়মিত ৫০০ টাকা আদায় যেন রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেই অভিযোগ। সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানায় এলাকায় এক খালাসি পুলিশের হাতে নিগৃহীত হয়েছে বলে শোনা যায়। অভিযোগ, তিনি ১০০ টাকা দিতে চাইলে তাঁকে নিগ্রহ করা হয় বলে। মারধরের জেরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এর পরই পুলিশ-প্রশাসনে বিষয়টি জানায় সংগঠন। তার পর ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনও উত্তর মেলেনি বলেই দাবি। এর পরই ধর্মঘটের ডাক দেয় সংগঠন। তাঁদের দাবি, পুলিশি জুলুম বন্ধ করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে হবে প্রশাসনকে।
জানা গিয়েছে, বাংলায় প্রতি সপ্তাহে ২ কোটি ২০ লক্ষ কেজি পোলট্রি মুরগির চাহিদা রয়েছে। ধর্মঘট যদি দীর্ঘদিন চলতে থাকে সেক্ষেত্রে জোগানে ঘাটতি দেখা দেবেই। বাড়বে দামও। জোগানে ঘাটতি পড়তে পারে ডিমেরও। ফলে বাড়তে পারে দাম। এই কারণেই ধর্মঘট চিন্তা বাড়াচ্ছে আমজনতার। উল্লেখ্য, রাজ্য পোলট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন ধর্মঘট ডাকলেও আরেকটি পোলট্রি সংগঠন এটি সমর্থন করেনি। তাঁদের দাবি, প্রশাসনের উপর ভরসা রাখা উচিত।