মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শ্রাবণী মেলায় পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা, নজর যোগাযোগ মাধ্যমে...
আজকাল | ১৯ জুলাই ২০২৪
মিল্টন সেন,হুগলি: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে আসন্ন শ্রাবণী মেলায় পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে উদ্যোগী প্রশাসন। সম্প্রতি উচ্চপর্যায় বৈঠক বসেছিল হয়েছে জেলাশাসকের দপ্তরে। বৃহস্পতিবার হরিপালের কাশি বিশ্বনাথ সেবা সমিতির সভাকক্ষে মেলা সম্পর্কিত বিষয়ে পুনরায় আয়োজিত বৈঠকে একাধিক গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, মন্ত্রী বেচারাম মান্না, হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্য, পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কামনাশিষ সেন, হরিপালের বিধায়ক করবি মান্না, তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহরায় সহ জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা।
পূণ্যার্থীদের সুবিধার্থে বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেমন কোনও প্রকারের প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবে না। তাই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং দোকান সব ক্ষেত্রে শালপাতা অথবা কাগজের থালা বাটি ব্যবহার করে খাবার সরবরাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মিশন নির্মল বাংলার মাধ্যমে এলাকাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
বর্জ্য নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে। প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পুরসভার ক্ষেত্রে ক্যাম্প করা বাধ্যতা মূলক। থাকবে এ্যাম্বুলেন্স, রাস্তায় থাকবে পর্যাপ্ত আলো। আর প্রত্যেক ক্যাম্পে নজরদারি চালাবে জেলা প্রশাসনের ক্যাম্প।
বৈদ্যবাটি থেকে তারকেশ্বরে জল ঢালা পর্যন্ত গিয়ে খুব সহজে যাতে পূণ্যার্থীরা জল ঢালতে পারেন সেই লক্ষে নানান পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যেহেতু তাঁরা পায়ে হেঁটে তারকেশ্বর যান তাই তারকেশ্বর বৈদ্যবাটি রোডসহ সংলগ্ন একাধিক রাস্তা সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গঙ্গার ঘাটে জল তোলার সময় কোনরূপ দুর্ঘটনা না হয়, তারজন্য সেচ দপ্তরের মাধ্যমে চালানো হবে নজরদারি। জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে ঘাটকে। সাধারণত বৈদ্যবাটি নিমাই তীর্থ ঘাট থেকে পূণ্যার্থীরা জল তুলে থাকেন। তাই এদিন নিমাইতীর্থ ঘাট সহ সংলগ্ন ৬ টি ঘাটের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখেছেন মন্ত্রী এবং জেলা পুলিশ এবং প্রশাসনের আধিকারিকেরা। ঘুরে দেখেন রেল স্টেশন। মন্ত্রী বেচারাম মান্না জানিয়েছেন, বৈঠকে শ্রাবণী মেলা নিয়ে রেল দপ্তরের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে।
আরপিএফ এবং রেল প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে পূণ্যার্থীরা যাতায়াতের সময় রেলগেট চত্ত্বরে কড়া নজরদারি রাখতে হবে। একইসঙ্গে শেওড়াফুলি এবং বৈদ্যবাটি স্টেশনে ট্রেনে পূর্নার্থীদের নামা ওঠার বিষয়টির দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। গোটা শ্রাবণ মাস দুর দূরান্ত থেকে আগত হাজার হাজার পুণ্যার্থীর ভিড় উপচে পড়ে রেল স্টেশনে। তাই ২০ মিনিট অন্তর লোকাল ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে রেল প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। রাজ্য পরিবহন দপ্তরের উদ্যোগে প্রতি আধঘন্টা অন্তর শনিবার ভোর থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত ৫০ টি অতিরিক্ত বাস সাঁতরাগাছি, বর্ধমান সহ সহ বিভিন্ন রুটে চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিবহন মন্ত্রী জানিয়েছেন, যোগাযোগের বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। প্রয়োজনে পূণ্যার্থীদের নিয়ে বাস কলকাতার ধর্মতলায় পর্যন্ত যাবে।