• 'কথা দিলে কথা রাখি', জয়ের পর বহরমপুরে এসে বললেন ইউসুফ পাঠান...
    আজকাল | ১৯ জুলাই ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্কঃ পাঠান কাউকে কথা দিলে সেই কথা সে পূরণ করেন। তিনি নিজেও তাঁর করা সমস্ত 'ওয়াদা' (প্রতিশ্রুতি) পূরণ করবেন। লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর প্রথমবার বহরমপুরে এসে ফের একবার এই কথা বললেন তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা সাংসদ তথা ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন সদস্য ইউসুফ পাঠান। 

    গত মাসের ৪ তারিখে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর শংসাপত্র নিয়েই মুর্শিদাবাদ ছাড়েন ইউসুফ। তার প্রায় দেড় মাস বাদে ফের একবার বহরমপুরের মাটিতে পা পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের। 

    বৃহস্পতিবার বহরমপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় অফিসে মুর্শিদাবাদ জেলার তিন নবনির্বাচিত সাংসদ- আবু তাহের খান ,খলিলুর রহমান এবং ইউসুফ পাঠানকে দলের বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার তরফ থেকে সংবর্ধনা জানানো হয়। 

    আজকের সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠান বলেন, "মমতা ব্যানার্জি এবং অভিষেক ব্যানার্জি আমাকে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করে পাঠিয়েছেন। এই লোকসভা কেন্দ্রের ৫ লক্ষের বেশি মানুষ আমাকে তাদের ভোটে জিতিয়ে দিল্লিতে পাঠিয়েছেন। আমি এখন দেশের সংসদে বহরমপুরের প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষের প্রতিনিধি। ক্রিকেট খেলার সময়ও আমি নিজের দায়িত্ব পালন করেছি। বহরমপুরের মানুষ উন্নয়নের যে দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন তাও আমি পালন করব।" 

    এরপরই ইউসুফ বলেন, "পাঠান যদি কাউকে কথা দেয় সেই কথা সে পূরণ করে। আমি ভোটের প্রচারে এসে আপনাদেরকে বলেছিলাম আপনারা আমার জন্য ১০ পা চলুন আমি আপনাদের জন্য ১০০ পা চলব। আমি সেই কথাও রাখব। আগামী ৫ বছর এখানকার মানুষের জন্য উন্নয়নের অনেক কাজ আমি করবো।" 

    তৃণমূলের নব নির্বাচিত সাংসদ ইউসুফ বলেন, "এর আগেও মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ লোকসভাতে গিয়েছে। কিন্তু এবছরই প্রথমবার মুর্শিদাবাদ জেলার তিনটি আসন থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের তিনজন সাংসদ জয়ী হয়েছেন। আমরা তিনজনই আপনাদের জন্য লড়াই করব। এখানকার উন্নয়নের কোনও কাজ আটকাবে না, আমি সকলের কাছে এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।" 

    ইউসুফ, খলিলুর রহমান এবং আবু তাহের খান আজ মুর্শিদাবাদের মানুষকে নতমস্তকে তাদের ধন্যবাদ জানান। বিরোধীদের অভিযোগের জবাব দিয়ে ইউসুফ আজ বলেন,"আমি মোটেই নিখোঁজ হইনি। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর পরিবারের সাথে এবং খেলাধুলার কিছু পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি থাকার জন্য বহরমপুরে থাকতে পারিনি। কিন্তু আমার মন সবসময় এখানেই পড়েছিল। আমি নিয়মিত ডেভিডদাকে (পড়ুন তৃণমূল কংগ্রেসের বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার) ফোন করে আপনাদের খোঁজ খবর নিয়েছি। খেলা এবং পরিবারের প্রতি আমার যে দায়িত্ব রয়েছে বহরমপুরের মানুষের জন্য আমি তেমনই কাজ করব।আমি যেখানেই থাকি না কেন আমার মন এখানেই থাকে।" 

    খুব শীঘ্রই তিনি বহরমপুরে একটি নতুন বাসা নেবেন বলে জানান ইউসুফ। তিনি বলেন,"গুজরাটের বরোদা এবং দিল্লিতে আমার বাড়ি রয়েছে। বহরমপুরেও আমার একটি বাড়ি হবে। আমি এখান থেকে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বাকি বিধানসভা এলাকায় গিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করব।" আজ ইউসুফ জানান তাঁর নিজের পূর্ব প্রতিশ্রুতি মতো খুব শীঘ্রই বহরমপুরে স্পোর্টস একাডেমির কাজ শুরু হতে চলেছে। তিনি জানান, "ইতিমধ্যেই আমি ৩৫ বিঘা জমি চেয়ে চিঠি লিখেছি। সেই একাডেমিতে এখানকার বাচ্চারা যে খেলা খেলতে চায় তার ব্যবস্থা থাকবে। যাতে তারা দেশের হয়ে পদক নিয়ে আসতে পারে।" ইউসুফ আরও জানান বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের জন্য তিনি ২০-২২ টি উন্নয়নের কাজকে অগ্রাধিকার দিতে চলেছেন। খুব শীঘ্রই সেই কাজগুলো শুরু হবে এবং এর জন্য তিনি ইতিমধ্যেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে আলোচনাও শুরু করেছেন।
  • Link to this news (আজকাল)