মন্দির চত্বর পরিদর্শনের পর মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন শৈব তীর্থ তারকেশ্বরের এই শ্রাবণী মেলা বহু প্রাচীন। এখানে কয়েক লক্ষ মানুষের সমাবেশ ঘটে। তাঁরা গঙ্গা থেকে জল নিয়ে জল ঢালার পর সুষ্ঠুভাবে যাতে বাড়ি পৌঁছতে পারেন তার সুব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনিক স্তরে আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছি। জল, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য সহ সমস্ত রকমের পরিষেবা যাতে সহজে তারা পান, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে এক প্রশাসনিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, নির্মল মিশন বাংলা অনুযায়ী কোনওরকম প্লাস্টিকের ব্যবহার চলবে না। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে কাগজ এবং শালপাতায় খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনটি জায়গায় বিশেষ ক্যাম্প করা হবে। সেখান থেকে নজরদারি চালানো হবে। গঙ্গার ঘাটগুলিতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও জল যাত্রীদের সুবিধার জন্য রাস্তা সংস্কারের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, এবারে একটি বড় সংযোজন হল পরিবহন দপ্তরের সহযোগিতায় ৫০টি বাস তারকেশ্বর বাস স্ট্যান্ডে থাকবে। সেখান থেকে ধর্মতলা, বর্ধমান, বালি হল্ট এবং সাঁতরাগাছির মধ্যে চলাচল করবে। যাতে যাত্রীরা সহজে যাতায়াত করতে পারেন।
এছাড়াও রেলকে অনুরোধ করা হয়েছে, প্রতি রবিবার ও সোমবার সহ প্রতিদিন কুড়ি মিনিট অন্তর ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা সহ স্টেশনে পানীয় জলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা একাধিক টিকিট কাউন্টার এবং পর্যাপ্ত জিআরপি পুলিশের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে তারকেশ্বরের উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। মন্দিরে ঢোকা এবং বেরনোর ক্ষেত্রে রাস্তাগুলি প্রশস্ত করার কথা ভাবা হয়েছে। এছাড়াও সামগ্রিক উন্নয়নের ব্যাপারে আমরা মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেব। আজকের বৈঠকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ছাড়াও পঞ্চায়েতগুলির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।