সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: বছর দুয়েক আগে বোনের মৃত্যুর খবর পান দাদা। তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক বলে দাবি পুলিশের। আজও ঘটনার কিনারা হয়নি। সঙ্গে উধাও মৃতের দুই সন্তানও। মৃত পরিবারে অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হলেও সুরাহা হয়নি। এবার বোনের ‘খুনে’র সুবিচার ও নিখোঁজ ভাগ্নে, ভাগ্নির খোঁজ পেতে দুর্গাপুরের বাড়ি থেকে সাইকেলে রাজভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন মৃতার দাদা প্রসেনজিৎ স্বর্ণাকার।
কয়েকবছর আগে দুর্গাপুরের (Durgapur) এল.বি টাইপের অঞ্চলের বাসিন্দা উমা স্বর্ণকার বাড়ির অমতে বিয়ে করেন দুর্গাপুরেই বাসিন্দা রফিক আলমকে। দম্পত্তির দুই সন্তানও ছিল। বছর দুয়েক আগে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত অঙ্গদপুর এলাকায় উমা খাতুনের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার আগের দিন থেকে উমার স্বামী পলাতক বলে অভিযোগ।
পড়শিদের ফোনে উমার মৃত্যু সংবাদ পান তাঁর দাদা ও পরিবার। উমার দেহ উদ্ধার হলেও ঘটনার পর থেকে খোঁজ মিলছে না দুই সন্তানের। পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। পরিবারের অভিযোগ, কোকওভেন থানার পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। মহকুমা প্রশাসন থেকে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের সর্বোচ্চ স্তরে জানিয়েও কাজের কাজ কিছু হয়নি বলেই দাবি।
সুবিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও লিখিত আর্জি জানান উমার পরিবার। কিন্তু তারপরেও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। বিচার না পেয়ে এবার দুর্গাপুরের কোকওভেন থানা এলাকার এল.বি টাইপের নিজের বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রওনা দিলেন উমার দাদা। মৃত যুবতীর মা মিনতি স্বর্ণকার বলেন, “মেয়ের খুনির শাস্তির দাবি জানাচ্ছি আমরা। দুই নাতি-নাতনীরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওদের খুঁজে দেওয়ার আর্জি নিয়ে সাইকেল করে রাজ্য়পালের কাছে যাচ্ছে ছেলে।