নিজস্ব প্রতিনিধি, মহম্মদবাজার: পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই, সেটা এবারের লোকসভা নির্বাচনে ফের একবার প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। একইভাবে আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের এমনই বার্তা দিলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। বৃহস্পতিবার মহম্মদবাজারে ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আগামীর সাংগঠনিক পরিকল্পনার সুর বেঁধে দেন সাংসদ।
এদিন দুপুরে মহম্মবাজারের ৬টি অঞ্চলের বুথ সভাপতিদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন শতাব্দী। চতুর্থবার সাংসদ হওয়ার জন্য তাঁকে সম্মানিত করেন নেতাকর্মীরা। শতাব্দী বলেন, প্রাক্তন বাম সাংসদ রামচন্দ্র ডোম মহম্মদবাজারের মানুষ হলেও সংসদে এই এলাকার সমস্যার কথা কখনও বলেননি। কিন্তু বাইরের মানুষ হয়েও আমি সংসদে এই এলাকার কথা বারবার বলেছি। এদিন আরও কিছু কাজ করার আবেদন রাখেন উপস্থিত প্রত্যেকে। কীভাবে এবার ভোট হয়েছে, সেই অভিজ্ঞতাও সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন।
তিনি বলেন, এতদিন কেষ্টদা ছিল বলে সংগঠনের ব্যাপারে ঢুকতে হতো না। শুধু প্রার্থী হয়ে প্রচার করতাম। কিন্তু এবার কীভাবে নির্বাচন হয়, তা শেখা হল। আপনাদের হাত ধরে শিখলাম। আপনারা তখন বলেছিলেন, কত ভোট হবে, কত লিড হবে, কোন বাড়ি ভোট দেবে এই অঙ্ক কীভাবে কষেন। তা এখনও আমার শেখার আছে। এবার সবাই মিলে ভোট করেছেন। আগে পঞ্চায়েতে যেভাবে নিজের ভোটে কেবল সময় দিতেন এবার তার থেকে বেশি সময় দিয়েছেন। এর থেকেই প্রমাণিত পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। এখন দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছে। পদে অনেকদিন থাকলে দায়িত্ব বাড়ে।
নেতা-কর্মীদের তিনি বলেন, আবার একটা নির্বাচন আসতে চলেছে। আবার প্রস্তুতি নিতে হবে। মনে রাখবেন, আপনারা আমার প্রতিনিধি। আর আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই এলাকার মানুষের কাছে আপনাদেরই কৈফিয়ত দিতে হবে। সেক্ষেত্রে কাজ করতে হবে, পরিষেবা দিতে হবে। ২০২৬ সালে আবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার গড়বেন। এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিন।
এদিন এই অনুষ্ঠানের পর সাংসদ দুবরাজপুরের ৭নম্বর ওয়ার্ডে ক্রীড়া উদ্যান মঞ্চের উদ্বোধন করেন। সন্ধ্যায় সাঁইথিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। অনেকেই বলছেন, শতাব্দী যে ধীরে ধীরে বীরভূমের সংগঠনের হাল ধরতে চাইছেন। যদিও বিরোধীদের দাবি, আগে যেসব প্রতিশ্রুতিগুলি দিয়েছেন, সেগুলো পালন করুন। তাহলেই জেলার মানুষ খুশি হবেন।