• বন্যার সময় ঝুঁকি এড়াতে অন্তঃসত্ত্বাদের নিয়ে ঘাটালে বিশেষ পদক্ষেপ প্রশাসনের
    বর্তমান | ১৯ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ঘাটাল: বন্যার সময় কোনও ঝুঁকি নয়, প্রয়োজন হলে সম্ভাব্য ডেলিভারির ১০ দিন আগেই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের নিরাপদ মাদার হাবে নিয়ে চলে আসতে হবে। বৃহস্পতিবার ঘাটাল মহকুমার ‘ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট’ নিয়ে জরুরি মিটিং করতে এসে এমনই নির্দেশ দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি। এদিন বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক এবং মহকুমার বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে তিনি ঘাটাল টাউন হলে এনিয়ে একটি মিটিং করেন। সেখানেই জেলাশাসক বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমরা সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। কিন্তু এলাকা প্লাবিত হয়ে গেলে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের বাড়ি থেকে হাসপাতালে আনতে খুব সমস্যা হয়। তাই সেরকম মন হলে সন্তানসম্ভবা মহিলাদের বেশ কিছু দিন আগে থেকেই বাড়ি থেকে এনে মাদার হাবে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। বন্যার সময় স্বাভাবিক ভাবেই সাপের উপদ্রব হয়। তাই পর্যাপ্ত এভিএস মজুত রাখার বিষয়েও স্বাস্থ্যদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় মেডিকেল টিম রাখার ব্যবস্থা করা হবে।


    ভারী বর্ষা হলেই ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রত্যেক বছরই একাধিক বার এই মহকুমার কয়েকটি ব্লক এবং পুরসভার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েন। ক্ষতির পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে কমবেশি দুর্ভোগে পড়তে হয়। এবার জলপ্লাবনের সময় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে গবাদি পশুদের যাতে কোনও রকম সমস্যায় না পড়তে হয়, তার জন্যই এদিনের আগাম মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়।


    এদিনের মিটিংয়ে ঘাটাল মহকুমা সেচ ও জলপথ দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্ষা আসার অনেক আগে থেকেই তারা মহকুমার নদী বাঁধ এবং এক জমিদারি বাঁধগুলির উপর নিয়মিত নজরদারি রেখেছে। ইতিমধ্যেই বাঁধের রেনকাট, বাঁধের মধ্যে ধসগুলি মেরামতি করে দিয়েছে। নদীতে জলস্ফীতির সময় আপদকালীন মেরামতির জন্য প্রায় এক লক্ষ পলিব্যাগ মজুত রেখেছে। বর্ষার সময় বাঁধ মেরামতির জন্য পর্যাপ্ত মাটি পাওয়া যায় না। 


    ঘাটাল মহকুমা সেচ ও জলপথ দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার উজ্জ্বল মাখাল বলেন, আমরা বেশ কয়েকটি পয়েন্টে মাটিও মজুত করে রাখার ব্যবস্থা করেছি।জেলাশাসক এখন থেকেই মহকুমার ফ্লাড শেল্টারগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ, পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা ঠিক আছে কি না, তা দেখে নেওয়ার জন্য  নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও পানীয় জলের ব্যবস্থা, গবাদি পশুদের পর্যাপ্ত খাবার জোগানের বিষয়টির দিকেও প্রশাসনের নজর রাখছে। জেলাশাসক বলেন, ব্লক, মহকুমা এবং জেলা স্তরেও বন্যার সময় কন্ট্রোল রুম থাকবে। সাধারণ মানুষের যে কোনও রকম অসুবিধে হলে তাঁরা সেখানে যোগাযোগ করে সমস্যার কথা জানাতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় স্পিড বোট, পর্যাপ্ত নৌকার ব্যবস্থা থাকবে। জেলাশাসক বলেন, সাধারণ মানুষকে যাতে কোনও রকম সমস্যায় পড়তে না হয়, তারজন্য আমরা এখন থেকেই সচেষ্ট থাকছি।
  • Link to this news (বর্তমান)