পিকআপ ভ্যানে ময়দার বস্তার নীচে ৫ হাজার বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার
বর্তমান | ১৯ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, ডোমকল: উত্তরপ্রদেশ থেকে সাগরপাড়া। যাত্রাপথে পুলিসি ঝক্কি এড়াতে ময়দার বস্তার মধ্যে ফেনসিডিল লুকিয়ে রওনা দিয়েছিল দুই পাচারকারী। পুলিসি ঝঞ্ঝাট ছাড়াই নির্বিঘ্নে রাজ্যের সীমানা পার করে মাদক নিয়ে মুর্শিদাবাদে ঢুকে পড়েছিল তাদের গাড়ি। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে সাগরপাড়া পৌঁছনোর আগেই ইসলামপুর টোলপ্লাজায় গাড়ি আটকে পাঁচ হাজার বোতল ফেনসিডিল বাজেয়াপ্ত করল পুলিস। নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ উদ্ধারের পাশাপাশি ওই গাড়িতে থাকা মিঠুন দাস ও মনিরুল ইসলাম নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতদের বাড়ি সাগরপাড়া থানা এলাকায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে সোর্স মারফৎ ইসলামপুর থানা পুলিসের কাছে খবর আসে, একটি পিকআপ ভ্যানে ময়দার বস্তার মধ্যে নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ আনছে। ডোমকল এসডিপিও শুভম বাজাজের নেতৃত্বে পুলিসের একটি টিম ইসলামপুর টোলপ্লাজায় অপেক্ষা করতে থাকে। একটি পিকআপ ভ্যান জলঙ্গির দিকে আসতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় গাড়িটি দাঁড় করায় পুলিস। তল্লাশির সময় দেখা যায়, তাতে প্রচুর ময়দার বস্তা রয়েছে। কয়েকটি বস্তার মুখ খুলে দেখে, ভিতরে ময়দা রয়েছে। এরপরে প্রায় ৫০টি ময়দার বস্তা নামানোর পর বাকি বস্তার মুখ সরাতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিস কর্তাদের। পরপর ১৭টি ময়দার বস্তার ভিতরে মোট ৪হাজার ৯৯৩টি ফেনসিডিল উদ্ধার হয়।
এরপরেই বিপুল পরিমাণ ওই নিষিদ্ধ সিরাপ, ময়দা সহ ওই দুই পাচারকারীকে ইসলামপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিস। পরবর্তীতে তাদের নামে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে। পুলিসি জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা জানিয়েছে, তারা কাশির সিরাপ বাংলাদেশে পাচারের জন্য সাগরপাড়ায় নিয়ে আসছিল। ধৃত মিঠুন দাস দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্তে মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। অতীতে তার নামে একাধিক মাদকের মামলাও রয়েছে। বেশ কয়েকবছর সে জেলেও ছিল। তবে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও এর পিছনে বড় চক্র কাজ করছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের নাগাল পেতে চাইছে পুলিস।