• মাথায় চাঙর ভেঙে পড়ার আতঙ্ক নিয়েই চলছে কেশিয়াড়ির স্কুল
    বর্তমান | ১৯ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বেলদা: সামান্য বৃষ্টিতেই ফেটে যাওয়া ছাদ থেকে অনবরত পড়তে থাকে জল। ছাদের সিলিং থেকে ভেঙে পড়ছে চাঙড়। বড়সড় দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে ভগ্নপ্রায় ছাদের নীচে থাকতে হচ্ছে আবাসিক ছাত্রদের। এবারে বৃষ্টিতে হস্টেল বন্ধ করে দিতে হবে বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের। বিগত এক বছর ধরে সংস্কারের জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। মেলেনি কোনও সুরাহা। এমন‌ই পরিস্থিতি কেশিয়াড়ি ব্লকের গগনেশ্বর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জয়কৃষ্ণপুর নেহরু বিদ্যাভবনের। 


    কো-এড এই বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১১০০। যার প্রায় ৭০ শতাংশই তফসিলি উপজাতি ভুক্ত। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ারা এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। স্বাধীনতার পর ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই স্কুল। গ্রামীণ এলাকায় একমাত্র সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে আদিবাসী পড়ুয়াদের জন্য রয়েছে একটি দোতলা হস্টেল বিল্ডিং। যার বেশিরভাগ অংশই ভেঙেচুরে গিয়েছে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে পোড়ো বাড়ি। যখন তখন মাথার উপরে খুলে পড়ছে কংক্রিটের চাঙর। সেই ভাঙা বিল্ডিংয়ের মধ্যেই দুর্ঘটনার আশঙ্কাকে মাথায় নিয়ে দিন কাটাচ্ছে হস্টেলে থাকা প্রায় একশো কুড়ি জন পড়ুয়া। শুধু হস্টেল বিল্ডিং নয়, বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ ঘর পুরনো হয়ে ভেঙেচুরে গিয়েছে। বর্ষাকালে বেশ কয়েকটি শ্রেণিকক্ষ সহ ল্যাবরেটরির ছাদ ফুটো হয়ে জল পড়ছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। প্রধান শিক্ষক অনুপম নন্দ বলেন, বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন কোনও প্রধান শিক্ষক ছিলেন না। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন জানিয়েছি। বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ বিল্ডিং সহ হস্টেল বিল্ডিংয়েরও এমনই পরিস্থিতি যে, এবারে বর্ষাকালে ক্লাস বন্ধ করে দিতে হতে পারে। হস্টেলের ছাত্রদের বাড়ি পাঠিয়ে দিতে বাধ্য হব। বেশকিছু অভিভাবক বাদল সিং, সুনীল সিং বলেন, ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় হয়। যেভাবে ছাদ ভেঙে পড়ছে যে কোনও সময়ে বড়সড় বিপদ ঘটে যেতে পারে। আমরা চাই দ্রুত বিদ্যালয়টির সংস্কার হোক। বিধায়ক পরেশ মুর্মু বলেন, এলাকার বেশ নামকরা স্কুল এটি। সম্প্রতি এই বিদ্যালয়ের সংস্কারের জন্য আমার ফান্ড থেকে ছয় লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে তা যথেষ্ট নয়। আগামী দিনে যাতে আরও আর্থিক অনুদান বিদ্যালয়টি পেতে পারে তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি।
  • Link to this news (বর্তমান)