সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন: নানুর ও কীর্ণাহার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে খারাপ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। একদিকে পিচ উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ, অন্যদিকে সেই গর্তে জল জমে ও চারিদিক কাদায় পরিপূর্ণ হয়ে থাকছে। তার ফলে অত্যন্ত ব্যস্ত এই দু’টি বাসস্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারীরা সমস্যার শিকার হচ্ছেন। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত এই অসুবিধা দূর করা হোক।
বোলপুর মহকুমার মধ্যে অন্যতম ব্যস্ত ও জনবহুল বিধানসভা এলাকা নানুর। এই বিধানসভার মধ্যেই রয়েছে আরেক ব্যস্ততম ও ব্যবসায়িক স্থান কীর্ণাহার। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার মানুষ এই দু’টি স্থানে কর্মসূত্রে এসে থাকেন। একই সঙ্গে এখান থেকেও প্রচুর সংখ্যক লোকজন দূরদূরান্তে পড়াশোনা ও কর্মের জন্য রওনা দেন। এই এলাকা দু’টির পরিবহণের প্রধান মাধ্যম বাস। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই নানুর ও কীর্ণাহার বাসস্ট্যান্ড সহ তার সংলগ্ন রাস্তার বেহাল দশা। নানুর চণ্ডীদাস তিনমাথা মোড়ের পাশেই রয়েছে বাসস্ট্যান্ড। সেখানে বোলপুর, নতুনহাট, লাভপুর সহ মুর্শিদাবাদ রুটের বাস আসা যাওয়া করে। নানুর বাসস্ট্যান্ড থেকে কীর্ণাহারের দূরত্ব প্রায় ৮ কিমি। কিন্তু এই দু’টি এলাকার বাসস্ট্যান্ডের অবস্থা দিনের পর দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। নানুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তায় পিচ উঠে গিয়েছে। তার ফলে খানাখন্দ ও ধুলোর মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বৃষ্টি হলে কাদা জল পার করে গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে যাত্রীদের। অন্যদিকে কীর্ণাহার বাসস্ট্যান্ডে যত্রতত্র নোংরা আবর্জনা পড়ে রয়েছে। দুর্গন্ধ সহ্য করে ও কার্যত আবর্জনার উপর দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রীদের। এখানেও বাসস্ট্যান্ডের সামনে পিচ রাস্তায় একাধিক জায়গায় ফাটল ধরেছে। বেশ কিছু স্থানে হয়েছে ছোট বড় গর্ত। পথচারী, সাইকেল ও বাইক আরোহী সহ অন্যান্যদের সেই গর্তের উপর দিয়েই বিপজ্জনকভাবে রাস্তা পারাপার করতে হচ্ছে। বৃষ্টি হলে রাস্তার খানাখন্দ পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে জলে। তার ফলে অত্যন্ত সমস্যার মধ্যে পড়ছেন চাকুরীজীবী, ব্যবসায়ী, স্কুল কলেজের পড়ুয়া সহ সকলেই। তাই স্থানীয় ও নিত্য যাতায়াতকারীরা চাইছেন দ্রুত সমস্যার সমাধান হোক।
নানুর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝি বলেন, ওই অংশে রাস্তার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সামান্য কিছু স্থান বাকি রয়েছে। দ্রুত তা সম্পূর্ণ হবে। আশা করছি, কিছুদিনের মধ্যেই নানুর ও কীর্ণাহারের বাসিন্দাদের এই সমস্যা মিটে যাবে।