• সবুজ শহর গড়তে উদ্যোগী বিধায়ক, বিষ্ণুপুরে গাছ বিলি বর্ষামঙ্গল উৎসবে
    বর্তমান | ১৯ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: বর্ষামঙ্গল উৎসবে বিষ্ণুপুর শহরে প্রতিটি বাড়িতে টব সমেত চারাগাছ পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার করলেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুরের পোড়ামাটির হাটে বিধায়কের উদ্যোগে আয়োজিত বর্ষামঙ্গল উৎসব পালিত হয়। সেখানে চারাগাছ বসানোর পাশাপাশি সবুজের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানেই বিধায়ক শহরের ১৬ হাজার পরিবারের কাছে একটি করে টব সমেত গাছ পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। এদিন তাঁরও সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক সিয়াদ এন, জেলা সভাধিপতি অনুসুয়া রায়, বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক প্রসেনজিৎ ঘোষ, বিধায়ক তন্ময় ঘোষ প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বনদপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।  


    বিধায়ক বলেন, বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধে গাছের প্রয়োজনীয়তা আমরা সবাই জানি। সেই জন্য আমি চাই শহরের প্রতিটি বাড়িতে অন্তত একটি করে গাছ থাক। শহরে মোট ১৬ হাজার পরিবার রয়েছে। তবে অনেকেরই বাড়িতে পর্যাপ্ত জায়গা নেই। সেই কারনে টব সমেত গাছ পৌঁছানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাতে ফল, ফুল সহ বিভিন্ন ধরনের গাছ থাকবে। এদিন ওই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়। এবং ওই উপলক্ষে বর্ষামঙ্গল নামে একটি উৎসব চালু করা হয়।   


    এছাড়াও এদিন বনমহোৎসব উপলক্ষে পোড়ামাটির হাটপ্রাঙ্গন থেকে শহরে একটি র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। তা যদুভট্ট মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চারা বিতরণ থেকে শুরু করে বন সচেতনতা মূলক আলোচনা হয়। জেলাশাসক, সভাধিপতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বনদপ্তরের চিফ কনজারভেটিভ অব ফরেস্ট কুনাল ডেইভাল, দপ্তরের বিষ্ণুপুর পাঞ্চেতের ডিএফও রাজু সরকার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে এদিন পাঁচটি বনসুরক্ষা কমিটিতে কয়েক লক্ষ টাকা করে গাছের লভ্যাংশের চেক তুলে দেওয়া হয়। তার মধ্যে রয়েছে শিরোমণিপুর-কানগোড়, দৌনি, ধবনি, শাদপুকুর প্রভৃতি বনসুরক্ষা কমিটি রয়েছে। এককালীন অর্থ পেয়ে তাঁরা ভীষণ খুশি হয়েছেন। 


    সিসিএফ বলেন, বাঁকুড়া জেলায় আগের থেকে বনের পরিমান অনেকটাই বাড়াতে সক্ষম হয়েছি। তার জন্য বনসুরক্ষা কমিটির সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে। এদিন প্রচুর মানুষকে চারাগাছ বিতরণ করা হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)