• ডাম্পার-লরি সংঘর্ষে মৃত্যু চালকের, জনতার হাতে আক্রান্ত দুই এসআই
    বর্তমান | ১৯ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: ডাম্পারের সঙ্গে সংঘর্ষে লরিচালকের মৃত্যুর জেরে উত্তেজিত জনতার হাতে নিগৃহীত হলেন দুই সাব ইন্সপেক্টর। দুর্ঘটনার পর বৃহস্পতিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মালদহের চাঁচল থানার জিয়াগাছি এলাকা। পরে আইসি গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।


    পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁচল-সামসি ৩১ নং জাতীয় সড়কের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা ডাম্পারের পিছনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে চাঁচলগামী একটি পণ্যবাহী লরি। বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান লরিচালক। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম সোহেল শেখ (২৬)। গুরুতর জখম হয়েছেন খালাসি গোলাম এসদানি। তাঁরা ফরাক্কা এলাকার বাসিন্দা। 


    স্থানীয়দের দাবি, পুলিস না আসায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত লরির ভিতরে সকাল সাতটা পর্যন্ত আটকে ছিলেন খালাসি। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আর্থমুভার ও লোহা কাটার যন্ত্র ব্যবহার করে জখম খালাসিকে উদ্ধার করেন পুলিস ও দমকলকর্মীরা। তাঁর পা গুরুতর জখম হওয়ায় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়।


    এরপরই পুলিসের বিরুদ্ধে ঢিমেতালে উদ্ধারকাজ করার অভিযোগ করে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে উত্তেজিত জনতা দুই এসআইকে ধাক্কাধাক্কি করে বলে অভিযোগ। বাসিন্দারা ধাক্কা দিতে দিতে দু’জনকে কিছুটা দূরে নিয়ে যান এবং উদ্ধারকাজ শুরু করতে কেন দেরি হল, সেই প্রশ্ন করতে শুরু করেন।


    এক বিক্ষোভকারীর অভিযোগ, লরিটি দুমড়ে গিয়েছিল। প্রায় চারঘণ্টা ভিতরে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন একজন। পুলিস ঢিমেতালে উদ্ধারকাজ করছিল বলে আন্দোলন করেছি। ঘণ্টাখানেক অবরোধের জেরে যানজটে আটকে ভোগান্তি হয় ওই পথে যাতায়াতকারীদের। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে লাগে আরও প্রায় এক ঘণ্টা।


    ঘটনাস্থলে থাকা এসআই দীনবন্ধু দাসের দাবি, আমরাই উদ্ধার করার জন্য লোহা কাটার যন্ত্র এনেছিলাম। দমকলের কর্মীদের খবর দেওয়া হয়। গাড়ির সামনের অংশ অনেকটা দুমড়ে যাওয়ায় উদ্ধারকাজে সময় লাগছিল। তবুও আমাদের নিগ্রহ করা হয়েছে। চাঁচল থানার এক আধিকারিক বলেন, নিগ্রহের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত লরি ও ডাম্পারটি হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চলছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)