সংবাদদাতা, ইসলামপুর: রাজ্যের বিভিন্ন শহরে কমবেশি একপ্রস্থ ফুটপাত এবং সরকারি জায়গা দখলমুক্ত অভিযান হয়েছে। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরও ইসলামপুরে পদক্ষেপ নিতে পারেনি প্রশাসন।
ইসলামপুর মহকুমা প্রশাসন, বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক ও পুরসভা কর্তৃপক্ষের মধ্যে বৈঠকে ঠিক হয়েছিল অভিযানের আগে সার্ভে হবে। কোথায় কত জমি দখল হয়ে আছে, তা সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সার্ভে করে রিপোর্ট দেবে। ইতিমধ্যে কয়েকটি দপ্তরের রিপোর্ট মহকুমা প্রশাসনের কাছে পৌঁছেছে। কিন্তু ফুটপাত দখল নিয়ে সার্ভে এখনও শেষ হয়নি। ফলে অভিযান চালানো যাচ্ছে না। ইসলামপুর মহকুমা শাসক আবদুল সাহিদ বলেন, হকারদের নিয়ে সার্ভে চলছে। তবে সরকারি জমি দখল করে অবৈধ নির্মাণের বিষয়ে আমার কাছে রিপোর্ট চলে এসেছে। পিডব্লুডি ও তিস্তা প্রকল্পের জমি দখলের রিপোর্ট আছে। চলতি সপ্তাহেই অভিযান হবে। একইসঙ্গে অবৈধ পার্কিংয়ের বিষয়টিও দেখা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসলামপুর শহরে পিডব্লিউডি, তিস্তা, স্বাস্থ্য সহ বিভিন্ন দপ্তরের জমি জবরদখল হয়ে আছে। জেলার ডালখোলা, পাঞ্জিপাড়া সহ অন্যান্য এলাকায় প্রশাসন অভিযান চালালেও ইসলামপুর শহরে পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ইসলামপুর শহরের মূল সড়কের (পিডব্লুডি’র অধীনে থাকা সড়ক) দু’ধারে কয়েকশো দোকান রয়েছে কয়েক দশক ধরে। পিডব্লুডি দপ্তরের জমিতে তৃণমূল, বিজেপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিসও আছে। ফলে অভিযানে নামার আগে সাবধানে পা ফেলতে চাইছে প্রশাসন। অন্যদিকে, তিস্তা প্রকল্পের ক্যানালের জমি দখল করে বাড়ি তৈরি করেছেন অনেকে। স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা দিয়ে অনেক দোকান, হোটেল গজিয়ে উঠেছে। শহর জুড়ে ফুটপাতে হকারদের দাপট। শহরের মূল সড়কের দু’ধারে, বাজারের রাস্তার দুপাশ, ভিআইপি রোড, নিউ টাউন রোড সহ একাধিক জনবহুল এলাকাতেও হকাররা রয়েছে।
অভিযান না হওয়ায় মূল সড়কের ফুটপাতে যানবাহন পার্ক করা থাকছে। ফলে ফুটপাত দিয়ে পায়ে হাঁটার জায়গা থাকছে না বলে সড়কের উপর দিয়ে চলতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ সাদ্দাম বলেন, ‘যানজটের ফলে পথচারীরা বড় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন পথচারীরা। দ্রুত প্রশাসনের অভিযান চালানো উচিত্।’ ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, আমরা দ্রুত অভিযান চালানোর কথা ভাবছি। দখল হওয়া জায়গাগুলি চিহ্নিত হচ্ছে। তবে, পুরসভার জমি জবরদখল হয়নি। হকারদের দখলে ফুটপাত।