• বুনিয়াদপুরে লাইসেন্স ছাড়াই চলছে নার্সিংহোম, পরিদর্শনে অনিয়ম দেখেও ব্যবস্থা নিতে পারল না দপ্তর
    বর্তমান | ১৯ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: আচমকা অভিযানে ধরা পড়ল লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ। সঙ্গে একাধিক অনিয়ম। তবুও, পরিদর্শনের পর স্বাস্থ্য দপ্তর কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারল না অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।


    বুনিয়াদপুরের মতো ছোট্ট শহরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে গজিয়ে উঠেছে একাধিক নার্সিংহোম। সেগুলির পরিকাঠামো নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠলেও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের হেলদোল ছিল না বলে অভিযোগ। তবে, বৃহস্পতিবার বুনিয়াদপুরে নার্সিংহোমগুলির পরিষেবা ও পরিকাঠামো দেখতে গিয়েছিল স্বাস্থ্যদপ্তরের একটি টিম। বুনিয়াদপুরে একটি নার্সিংহোমে গিয়ে হাঁ হয়ে যান দপ্তরের প্রতিনিধিরা। তাঁরা দেখেন ওই নার্সিংহোমের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ। অথচ সেখানে রোগী ভর্তি রেখে দিব্যি চলছে চিকিৎসা। কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে না পারলেও স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রতিনিধিরা শুধুমাত্র সচেতন করে ছেড়ে দেন।


    প্রশ্ন উঠছে, অনিয়মই কি তবে এখন নিয়ম। অনেকে বলছেন, স্বাস্থ্যদপ্তরের একাংশের সঙ্গে যোগায়োগ থাকায় বারবার পার পেয়ে যায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। এবারও হয়তো অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। ওই নার্সিংহোমের ম্যানেজার শাহিন খান বলেন, আমাদের লাইসেন্সের মেয়াদ জুলাই মাসের প্রথম দিকে শেষ হয়েছে। আমরা জুন মাসে অনলাইনে রিনিউয়ের আবেদন করে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরে নথি জমা করেছি। অনলাইনে রিনিউয়াল পেন্ডিং হয়ে আছে। রিনিউ না হওয়া পর্যন্ত নার্সিংহোম বন্ধ রাখতে হবে কি না, সেবিষয়ে স্বাস্থ্যদপ্তর কিছুই জানায়নি। সেজন্য আমরা রোগী ভর্তি রেখে পরিষেবা দিচ্ছি।


    এদিন বুনিয়াদপুর শহরের দু’তিনটি নার্সিংহোম পরিদর্শন করেই অভিযানে ইতি টানেন প্রতিনিধিরা। প্রত্যেকটি নার্সিংহোমেই পরিকাঠামোর সমস্যা, প্রয়োজনীয় নথি ছিল না। এছাড়া ২৪ ঘণ্টা চিকিত্সক থাকেন না, প্রশিক্ষিত নার্সও নেই সেখানে। অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (বালুরঘাট সদর) বাসুদেব রায় বলেন, বুনিয়াদপুরের একটি নার্সিংহোম লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করছে। তারা লাইসেন্স রিনিউ করেনি। সবগুলি নার্সিংহোমে পরিকাঠামো থেকে প্রয়োজনীয় নথিপত্রের অভাব। আমরা কর্তৃপক্ষকে সচেতন করেছি। তিনমাস পর পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
  • Link to this news (বর্তমান)