সংবাদদাতা, করণদিঘি: বিলাসপুর সব্জি বাজারে অভিযানে নামল ব্লক প্রশাসন ও পুলিস। প্রশাসনিক কর্তারা সব্জি বিক্রেতাদের সতর্ক করে দেন, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে যাতে বেশি দাম নেওয়া না হয়। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরও এই বাজারে চড়া দামে সব্জি বিক্রি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার তাই করণদিঘির বিডিও জয়ন্ত দেবব্রত চৌধুরী, জয়েন্ট বিডিও বাপ্পাদিত্য রায়, ব্লক কৃষি আধিকারিক ধীরেন ছেত্রী বাজার পরিদর্শনে আসেন। তাঁদের সঙ্গে ছিল করণদিঘি থানার পুলিস।
বিডিও বলেন, সরকার সব্জির দাম নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। বিলাসপুর বাজারে সব্জির দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ আসছিল। পাইকারি সহ খুচরো ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। বাজার ঘুরে সব্জি, আনাজের দামও যাচাই করে নেন আধিকারিকরা। ক্রেতাদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সব্জি, আনাজের দাম নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কেজিপ্রতি আলু ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৪৫ টাকা, পটল ৩০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, টম্যাটো ৭৫ টাকা করে বিক্রি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিক্রেতাদের।
এদিকে, সরকার নির্ধারিত দামে সব্জি বিক্রিতে লোকসানের কথা জানিয়েছেন বিক্রেতা আব্দুল হক। তাঁর কথায়, সরকার নির্ধারিত মূল্যে সব্জি বিক্রি করলে কিছুটা লোকসান হচ্ছে। কারণ হিসেবে জানালেন, টানা বর্ষণে উত্তরবঙ্গের সব জেলার আবাদি জমি জলের তলায়। মাঠেই পচে যাচ্ছে পটল, ঝিঙে, বেগুন, টম্যাটো। জোগান কম থাকায় সব্জির দাম বাড়ছে বলে ব্যবসায়ীদের দাবি। জোগান কমের সঙ্গে রয়েছে পরিবহণ খরচ।
অভিযানের পরই এদিন টম্যাটোর দাম ১০০ পার হয়েছে। যদিও সরকার নির্ধারিত মূল্য ৭৫ টাকা। বিলাসপুর বাজারের এক সব্জি বিক্রেতার দাবি, পাইকারি দরই ৮০ টাকা। কীভাবে ৭৫ টাকায় বিক্রি করব? তবে টম্যাটো বাদে বাকি সব্জির দাম এদিন ঠিকঠাকই ছিল। কৃষি আধিকারিক ধীরেন ছেত্রী বলেন, বন্যা পরিস্থিতির জন্য খেতেই শাকসব্জি নষ্ট হয়েছে। আমরা কৃষকদের সচেতন করছি, যাতে বেশি দাম নেওয়া না হয়।