• রায়গঞ্জে জলাশয় ভরাট রুখল জেলা প্রশাসন
    বর্তমান | ১৯ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: জলাশয় ভরাট করা থামছে না। এবার রায়গঞ্জের শহর লাগোয়া তুলসিপাড়া এলাকায় পুরনো ৩৪ নং জাতীয় সড়কের ধারে মাটি দিয়ে জলাশয় ভরাটের ছবি ধরা পড়ল। যাতে সবার নজরে না পড়ে, সেজন্য ধীরে ধীরে বুজিয়ে ফেলা হচ্ছিল জলাশয়ের বেশ কিছুটা অংশ। 


    খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন রায়গঞ্জ ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের রেভেনিউ ইন্সপেক্টর আব্দুল রহিম সহ চার কর্মী। তাঁরা ভরাট হওয়া জলাশয় খতিয়ে দেখেন। কিন্তু দিনের আলোয় চোখের সামনে কীভাবে জাতীয় সড়কের ধারে এই জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে? কীভাবে মিলছে ছাড়পত্র? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রেভেনিউ ইন্সপেক্টর বলেন, ২০২১ সালে এই জলাশয়ের চরিত্র বদল করা হয়েছে। তাঁর এই বক্তব্যের পরই প্রশ্ন উঠছে, ২০২১ সালে ওই জলাশয়ের চরিত্র বদলের অনুমতি কে দিয়েছিলেন?


    এপ্রসঙ্গে রায়গঞ্জ ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সৌমেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা খবর পেয়ে দপ্তরের কর্মীদের পাঠিয়েছিলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ওই জলাশয় ভরাট বন্ধ করতে বলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।


    রায়গঞ্জ শহর সহ সংলগ্ন এলাকায় একের পর এক জলাশয় ভরাট প্রসঙ্গে সাধারণ মানুষ সরাসরি মুখ খুলছেন না। তবে, পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশিষ্ট পরিবেশবিদ বিশ্বজিৎ রায়। তাঁর কথায়, জলাশয়কে প্রকৃতির কিডনি বলা হয়। সেগুলি দিনের পর দিন নষ্ট করা হলেও প্রশাসন সেভাবে নজর দিচ্ছে না বলে মনে হচ্ছে। এতে আমাদের জলচক্র নষ্ট হচ্ছে। জলাশয়গুলিকে যদি বাঁচাতে না পারি, পরিবেশ ধ্বংস হতে খুব বেশি সময় লাগবে না। প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ না নিলে এই কাজ বন্ধ হবে বলে মনে হয় না। তার ফল ভোগ করতে হবে সকলকে। 
  • Link to this news (বর্তমান)