• সালিশি সভায় চার ভাইকে মারধর, অভিযুক্ত ঠিকাদার
    বর্তমান | ১৯ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: শাসকদলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে সালিশি সভায় চার ভাইকে ধারাল মারধর করে জখম করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুরের হরকাবাথান এলাকায়। রাতেই হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে জখম চারজনকে ভর্তি করা হয়েছে। ঠিকাদার মণিরুল ইসলাম ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আহতের পরিবার।


    হরকাবাথানের বাসিন্দা মোশারফ হোসেন ৯ মাস আগে ঠিকাদার মণিরুলের কাছ থেকে অগ্রিম সাড়ে ১১ হাজার টাকা নিয়ে মুম্বইয়ে শ্রমিকের কাজে যান। সেখানে সপ্তাহ খানেক কাজ করার পর মোশারফ অন্যত্র কাজ করতে চলে যান বলে অভিযোগ। মোশারফকে দেওয়া অগ্রিম টাকা ফেরত চান ঠিকাদার। কিন্তু সেই টাকা দিতে টালবাহানা করছিলেন মোশারফ। সোমবার সেই টাকা চাইতে গেলে শ্রমিক ও ঠিকাদারের সঙ্গে বচসা হয়। সেই মামলা থানা পর্যন্ত গড়ায়। এরই মধ্যে মালিওর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেতারা বিবির স্বামী আব্দুল রহমানের কথায় বুধবার রাতে সালিশি সভা বসে।


    সেখানে মোশারফ হোসেন সহ তাঁর তিন ভাইকে বেধড়ক মারধর করে ঠিকাদার মণিরুল। এমনটাই অভিযোগ জখমদের। আহত মোশারফের দাবি, ঠিকাদারের কাছ থেকে অগ্রিম নেওয়া টাকা কাজ করে প্রায় শোধ করে দিয়েছিলাম। আমার কাছে আর মাত্র ২৫০০ টাকা পেত ঠিকাদার।


    জখম মোশারফের অভিযোগ, সোমবার বাড়ি ঢুকে মণিরুল আমার মোবাইল ও ১০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। পরিকল্পনা করে প্রধানের বাড়িতে সালিশি সভা ডেকে আমাকে মারধর করা হয়েছে। আমার তিন ভাইকেও মেরেছে।


    যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঠিকাদার মণিরুল। বলেছেন, সালিশি সভায় দুই শতাধিক লোক ছিল। ভিড়ের মধ্যে কে মেরেছে আমি বলতে পারব না। প্রধানের স্বামী আব্দুল রহমান বলেন, নিজেদের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে ফেলার জন্য সালিশি সভা ডাকা হয়েছিল। তবে সেখানে গণ্ডগোলের পর মারধর করা হয়েছে। চারজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বিষয়টি পুলিস প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিসের এক আধিকারিক জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)