• রাতভর হাতির তাণ্ডব, ভাঙল ১৮টি বাড়ি
    বর্তমান | ১৯ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ফালাকাটা: বৃষ্টির রাতে দলছুট হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক বাড়ি। ঘরের দেওয়াল ভেঙে মজুত খাদ্যসামগ্রী সাবাড় করেছে। শুধু তাই নয়, তছনছ করেছে ভুট্টা ও কলা খেত। রাত জেগে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করলেও তাতে খুব একটা সাফল্য পাচ্ছেন না বনকর্মীরা। বুধবার রাতে হাতির হামলার ঘটনা ঘটেছে ফালাকাটার শালকুমার ও দেওগাঁও পঞ্চায়েতে। আতঙ্কে রাতভর জেগে কাটিয়েছেন গ্রামবাসীরা। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০-২৫টি হাতি দক্ষিণ খয়েরবাড়ি জঙ্গল থেকে বের হয়। ৩-৪টি দলে ভাগ হয়ে তাণ্ডব চালায় দু’টি পঞ্চায়েত এলাকায়।  ১৮টি ঘর ভাঙে। এরমধ্য পশ্চিম শালকুমার গ্রামে ১০টি এবং পূর্ব-দক্ষিণ দেওগাঁও গ্রামে আটটি বাড়ি রয়েছে। গ্রামবাসীরা জানান, রাত ৮টা নাগাদ হাতির দল পশ্চিম শালকুমার গ্রামে ঢোকে। বনকর্মীরা খবর পেয়ে এসে হাতির দলটিকে তাড়া করেন। তাড়া খেয়ে হাতির দলটি পূর্ব-দক্ষিণ দেওগাঁওতে ঢুকে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত আমিনার হোসেন, পাড়াউ মুন্ডা, গৌতম বর্মন, লক্ষ্মী মুন্ডা, রামলাল ওরাওঁ বলেন, আমাদের ঘর ভেঙে দিয়েছে হাতির পাল। মজুত খাদ্যসামগ্রী খেয়ে নেয়। পাশাপাশি ঘরের জিনিসপত্র লন্ডভন্ড করে। গাছের কাঁঠাল খেয়ে, সুপারি ও কলা বাগান তছনছ করেছে। মাদারিহাটের রেঞ্জার শুভাশিস রায় বলেন, হাতি গ্রামে ঢোকার খবর পেয়ে রাত প্রায় ৮টা নাগাদ পশ্চিম শালকুমার ও দেওগাঁওতে আমরা চারটি টিম পাঠাই। রাতভর হাতি তাড়াতে বনকর্মীরা এলাকায় ছিলেন। ভোরের দিকে হাতির দলটিকে জঙ্গলে ঢোকানো সম্ভব হয়। হাতির পালের গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে। দু’টি টিম কাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়া হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্তরা আবেদন করলে সরকারি নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণ পাবেন। টহলদারি কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, সেই চেষ্টা করছি।
  • Link to this news (বর্তমান)