• প্রাথমিকে অফলাইনে বদলি সংক্রান্ত গাইডলাইন জানতে চাইল হাইকোর্ট
    বর্তমান | ১৯ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনলাইনে বদলির আবেদন সংক্রান্ত উৎসশ্রী পোর্টাল বন্ধ থাকায় সম্প্রতি অফলাইনে বদলির আবেদনে মান্যতা দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেইমতো অফলাইনে আবেদন জানানোর কতদিন পর তা বিবেচনা করা হবে? এবার রাজ্যের কাছে সেই তথ্য জানতে চাইল আদালত। বিষয়টি নিয়ে কী গাইডলাইন রয়েছে, তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। 


    উৎসশ্রী পোর্টাল বন্ধ থাকায় বদলি সংক্রান্ত একাধিক মামলা জমছিল হাইকোর্টে। তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা তাঁর নির্দেশে জানান, পোর্টাল বন্ধ রয়েছে, এই যুক্তিতে বদলি থেমে থাকতে পারে না। এরপরই বিচারপতির নির্দেশ, অনলাইনের পরিবর্তে অফলাইনে বদলির আবেদন গ্রহণ করতে হবে। এরপর, প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত মামলাগুলির বিচারভার সম্প্রতি আসে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে।


    বৃহস্পতিবার এক শিক্ষিকার মিউচুয়াল ট্রান্সফার সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল সেখানে। শুনানিতে পুতুল সিট নামে ওই মামলাকারীর আইনজীবী দাবি করেন, পুরুলিয়ার এই  শিক্ষিকা ২ জুলাই পর্ষদের কাছে বদলির আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পর্ষদের তরফে কোনও সিদ্ধান্তের কথা মামলাকারীকে জানানো হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে তিনি হাইকোর্টে এসেছেন।  


    এই অভিযোগ প্রসঙ্গে পর্ষদের আইনজীবীর পাল্টা দাবি, বিষয়টি বিবেচনার জন্য পর্ষদকে পর্যাপ্ত সময় না দিয়েই আদালতে এসেছেন মামলাকারী। পর্ষদকে পর্যাপ্ত সময় দিলে বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপের কথা জানানো যাবে। এই বক্তব্য শুনেই, বদলির সময়সীমা নিয়ে পর্ষদের গাইডলাইন কী রয়েছে,  তা বিচারপতি সিনহা জানতে চান। 


    উত্তরে পর্ষদের আইনজীবী জানান, বিষয়টি বিবেচনার জন্য পর্ষদের নির্দিষ্ট কোনও বাঁধাধরা সময়সীমা নেই। তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘কোনও সময়সীমা বা এনিয়ে গাইডলাইন না-থাকলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা হয়রানির শিকার হবেন কতদিন?’ 


    এরপরই বিচারপতি তাঁর নির্দেশে জানান, বদলির আবেদন জানানোর পর কতদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হবে, তা একটি গাইডলাইন প্রকাশসহ তা আদালতকে জানাতে হবে। পাশাপাশি, প্রয়োজনে নিজেদের ওয়েবসাইটেও এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। পরবর্তী শুনানি ২৯ জুলাই।
  • Link to this news (বর্তমান)