নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জমি দখল, প্রতারণা, সালিশি সভা ডেকে মহিলাদের মারধর করার মতো অভিযোগ তো রয়েছে। এবার সোনারপুরের ‘জেসিবি’র বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ সামনে এল। শুধু তাই নয়, গত চার বছরে চারবার গ্রেপ্তার হয়েছে এই জমি দখলের মূল কাণ্ডারী জামাল সর্দার। তার মধ্যে একবার ভোট পরবর্তী হিংসায় যুক্ত থাকার অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে ৫৬ দিন জেলও খেটেছে। বাকি তিনবার মারামারি ও দাঙ্গা ছড়ানোর অভিযোগে হাজতে যেতে হয়েছিল তাকে।
২০২১ সালে বিধানসভা ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল জামালের। হারাধন অধিকারী নামে এক ব্যক্তিকে বেশ কিছু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী মারধর করে বলে অভিযোগ। পরে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার পরই মৃত্যু হয়েছিল হারাধনের। সেই ঘটনাতেই অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠেছিল জামালের। সিবিআই কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। তার মধ্যে ছিল জামালও। কিন্তু পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকায় প্রায় দু’মাসের মাথায় জামিন পেয়ে ছাড়া প্রায় সে। প্রভাব বিস্তার করার আগে, এলাকায় সেভাবে পরিচিতি ছিল না জামালের। তার সামাজিক অবস্থান ঠিক কী ছিল, তা ২০১৭ সালের একটি ঘটনাই বলে দিচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বছর নিজের গ্রামেই সাইকেল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে গিয়েছিল জামাল। এরপর বাসিন্দারা তাকে বেধড়ক মারধর করে ছেড়ে দেয়। এখন গ্রামবাসীরা সেই সব ঘটনার কথা তুলে আনছেন। প্রভাব বিস্তার করে এখন প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে জামাল। তাই এখন আর কেউ কিছু বলতে পারে না। এদিকে, তিনদিন পেরিয়ে গেলেও কেন এখনও জামালের খোঁজ পাচ্ছে না পুলিস, তা নিয়েও একটা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ১৫ তারিখ জামাল বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তারপর সেই যে গেটে তালা পড়েছে, তারপর আর সেটা খোলা হয়নি। এদিকে জোরপূর্বক ভিতরে প্রবেশের ঝুঁকি নিতে রাজি নয় সোনারপুর থানার পুলিসও। তাই তারা এবার কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাড়িতে তল্লাশি করার জন্য সার্চ ওয়ারেন্টের আর্জি জানানো হয়েছে বারুইপুর আদালতে।