• নেই ইলিশ, গঙ্গাদেবীর আরাধনায় মৎস্যজীবীরা
    বর্তমান | ১৯ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: একমাস কেটে গেলেও দেখা নেই ইলিশের। যার জেরে ক্ষতির মুখে পড়েছেন মৎস্যজীবীরা। সেই কারণে তাঁরা এবার গঙ্গাদেবীর শরণাপন্ন হলেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নামখানার ফ্রেজারগঞ্জের গঙ্গা মন্দিরে দেবীর আরাধনায় মাতালেন মৎস্যজীবীরা।


    গত ১৪ জুন সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। ১৫ জুন থেকে মাছ ধরতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কয়েক হাজার ট্রলার সমুদ্রে পাড়ি দেয়। তবে এক মাসে সমুদ্রের বিভিন্ন মাছ জালে পড়লেও সেভাবে ইলিশের দেখা মেলেনি। 


    নিরুপায় হয়ে এদিন কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগর ও পাথরপ্রতিমার বহু মৎস্যজীবী একত্র হয়ে দেবী গঙ্গার পুজো দেন। পুজো দেওয়ার সময় মৎস্যজীবীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। দেবী গঙ্গার কাছে আকুতি করে বলতে থাকেন, ‘এবার তুমি মা শান্ত রূপে দেখা দাও। তোমার পবিত্র জলে ভরে উঠুক রূপালি শস্য।’ এদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মৎস্যজীবীরা মন্দিরে বসে পুষ্পাঞ্জলি দেন। এ বিষয়ে স্থানীয় মৎস্যজীবী কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘এক মাস হয়ে গেল সমুদ্রে এখনও ইলিশের দেখা নেই। মৎস্যজীবীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে সব ট্রলার বন্ধ হয়ে যাবে।’ কেন এই অবস্থা? মৎস্যজীবীদের কথায়, এখনও বৃষ্টির বাধা নেই। প্রাকৃতিক কোনও দুর্যোগ নেই। কিন্তু ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, হঠাৎই সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠছে। সেই কারণে বেশ কিছুদিন কোনও মৎস্যজীবী সমুদ্রে মাছ ধরতে পারেননি। সব ট্রলারকে উপকূলে ফিরে আসতে হয়েছিল। এই এক মাসে মৎস্যজীবীরা বিভিন্ন সমস্যার কারণে বারবার ক্ষতির মুখে পড়েছেন। 


    সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘এই একমাস ধরে মৎস্যজীবীদের জালে ১০০ টন ইলিশও পড়েনি। তবে এবার থেকে ইলিশ মাছ হওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি রয়েছে। কারণ এতদিন পর্যন্ত সমুদ্রে পশ্চিমী বাতাস বইছিল। এখন পুবের বাতাস বইতে শুরু করেছে। আশা করা যায় মৎস্যজীবীরা এবার জালে ইলিশ মাছ পাবেন।’
  • Link to this news (বর্তমান)