খড়দহের ঘটনার ছায়া বীরভূমের রাজগ্রামে। রেল লাইন পারাপারের সময় চারচাকা গাড়ি ও মালগাড়ির সংঘর্ষ। তবে চারচাকার চালক ও আরোহী, সকলেই সুরক্ষিত। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে বীরভূমের রাজগ্রাম পাথর শিল্পাঞ্চলে যাতায়াতের যে রেল লাইন সেটি পারাপার করছিল একটি চারচাকা গাড়ি। সেই সময় ওই লাইনে চলে আসে একটি মালগাড়ি। ট্রেন আসতে দেখেই গাড়ি ছেড়ে নেমে পড়েন চারচাকার চালক ও আরোহী। তারপরেই মালগাড়ির ধাক্কায় চারচাকা গাড়িটি কার্যত ছিটকে যায়। দুমড়ে মুচড়ে যায় চারচাকা গাড়িটি কিছুটা অংশ।রাজগ্রাম রেল স্টেশন থেকে রাজগ্রাম পাথর শিল্পাঞ্চলে যাতায়াতের জন্য একটি রেলপথ রয়েছে। ওই রেলপথে কোনও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে না। শুধুমাত্র মালগাড়ি যাতায়াত করে। সেই রেলপথে একটি ক্রসিং থাকলেও কোথাও কোনও রেলগেট নেই। সেখানেই ঘটে এই ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রেলপুলিশ।
এই প্রসঙ্গে রাজগ্রামের স্টেশন ম্যানেজার কুণাল কুমার বলেন, 'রাজগ্রাম স্টেশন থেকে একটি কয়ারি লাইন গিয়েছে গোপালপুর পাথর শিল্পাঞ্চলের দিকে। এই লাইন দিয়ে সারাদিনের একটি মাত্র মালগাড়ি যাতায়াত করে। যে রেল ক্রসিংয়ে ঘটনাটি ঘটেছে সেখান দিয়ে যাতায়াতের সময় প্রথমে মালগাড়িটি দাঁড়ায়। কোনও গাড়ি যাতায়াত করছে কি না, সেটি দেখে। রাস্তা ফাঁকা দেখলে নিয়ন্ত্রিত গতিতে ১২ থেকে ১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে এগিয়ে যায় মালগাড়ি। এদিনও মাল গাড়িটি রেলগেটের আগে দাঁড়িয়েছিল এবং রাস্তা ফাঁকা দেখে যখন এগিয়ে যেতে থাকে, তখনই একটি চারচাকা গাড়ি দ্রুত গতিতে চলে আসে। সেই গাড়ির একটি কোণে ধাক্কা লাগে। যার জন্য গাড়িটি লাইন থেকে সরে যায়। ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই।'
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি খড়দহ ও সোদপুর স্টেশনের মাঝে রেল গেটে আটকে যাওয়া একটি চারচাকার গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেসের। গাড়ির পিছন দিকে ধাক্কা লাগে ট্রেনের। ঘটনায় কার্যত একপাক ঘুরে যায় গাড়িটি। আর গাড়ির ধাক্কায় ভেঙে যায় রেল গেটও। সেই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায়। যদিও ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই। ঘটনার পর থেকেই লেভেল ক্রসিং পারাপারের বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে আরও বেশি উদ্যোগী হয়েছে রেল। এক্ষেত্রে রেল গেট বন্ধ হওয়ার সময় বা রেল গেট বন্ধ থাকলে লাইন পারাপার না করার পরামর্শই দেওয়া হচ্ছে রেলের পক্ষ থেকে।