রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, মামলা গ্রহণ সুপ্রিম কোর্টের
এই সময় | ১৯ জুলাই ২০২৪
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিলেন রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। কিন্তু, সাংবিধানিক রক্ষাকবচের জেরে ফৌজদারি ধারায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা সম্ভব নয়। এরপর এই অনুচ্ছেদ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নাড়েন রাজভবনের ওই মহিলা কর্মী। শুক্রবার মামলাটি ওঠে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পাদরিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে। শুক্রবার এই মামলায় কেন্দ্রকে যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেলকে সাহায্যের কথা বলা হয়।পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়েছে কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায়। রাজভবনের এক মহিলা কর্মী তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। কিন্তু, ভারতীয় সংবিধানের ৩৬১ ধারা অনুযায়ী রাজ্যপাল বেশ কিছু বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী। রাজ্যপাল পদের অন্যতম রক্ষাকবচ হল, পদে থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলা চালানো যাবে না। ফলে বোসের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারায় তদন্ত করা সম্ভব হয়নি।
সংবিধানের ৩৬১ নম্বর ধারায় রাজ্যপালকে যে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নেড়েছিলেন রাজভবনের ওই মহিলা কর্মী। আর তাঁর আবেদন শুনতে রাজি হল সর্বোচ্চ আদালত। কেন্দ্রীয় সরকারকে এই মামলায় পার্টি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কর্তব্যরত রাজ্যপালের সাংবিধানিক সুরক্ষা কবচ থাকার পরেও কী ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধ মূলক অভিযোগ দায়ের করা যায়? এই বিষয়ে মতামত জানাবে কেন্দ্র। এটর্নি জেনারেল শীর্ষ আদালতকে সহযোগিতা করবেন, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। তিন সপ্তাহ পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে, শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
গত ২ মে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন রাজভবনের এক মহিলা কর্মী। অভিযোগ অনুযায়ী, রাজভবনেই যৌন হেনস্থার শিকার হন তিনি। যদিও এই গোটা ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছিলেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি রাজভবনের তরফে একটি ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। কিন্তু, কী ভাবে অনুমতি ছাড়া তাঁর ছবি প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ওই 'নির্যাতিতা'। এই মামলার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী সঞ্জয় বসু বলেন, 'অভিযুক্ত যে পদেই থাকুন বা যতই ক্ষমতাধারী হোন না কেন, যৌন হেনস্থার মতো অপরাধ লুকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে নির্দিষ্ট দিশা দেখাবে।'