আজকাল ওয়েবডেস্ক : সাধুরবেশে সরকারি আবাসনে ঢুকে গৃহবধূর সোনার গহনা লুঠ করে পালাল দুই দুষ্কৃতী। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ফরাক্কা ব্যারেজ প্রকল্পের সরকারি আবাসনে। গৃহবধূর অভিযোগ, প্রায় তিন ভরি সোনার গয়না ছলনা করে নিয়ে পালিয়েছে সাধুবেশী দুই ব্যক্তি।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল ১১ টা নাগাদ দু'জন ব্যক্তি সাধুর বেশে ওই সরকারি আবাসনে প্রবেশ করে। তারপর তাঁরা মিতালী মল্লিক ও শিবা মল্লিক নামের এক দম্পতির কোয়ার্টারে যান। সেখানে গিয়ে প্রথমেই তাঁরা ভিক্ষে চায় এবং মিতালীর স্বামীর পেশাগত বিষয় বিভিন্ন কথা বলতে থাকেন। তারপর একজন 'সাধু' মিতালীর কাছ থেকে এক গ্লাস জল খেতে চান। সেই সময় অপর এক 'সাধু' জাদু খেলা দেখাবে বলে ওই গৃহবধূর কাছ থেকে কিছু টাকা চান।
তবে মিতালীদেবী প্রথমে টাকা দিতে অস্বীকার করেন। কিন্তু বারংবার দুই 'সাধু' তাঁকে অনুরোধ করতে থাকলে কথার ফাঁদে পড়ে মিতালীদেবী দু'জনের হাতে ১৬০ টাকা তুলে দেন। তারপরই তাঁরা বিভিন্ন ম্যাজিক করে ওই টাকা দ্বিগুণ করে দেখায় ।
এরপর ওই সাধুবেশী ব্যক্তিরা গৃহবধূর কাছ থেকে তাঁর সমস্ত সোনা ও রুপোর গয়না চান সেগুলো দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে।
মিতালিদেবী বলেন,"তখনও কিছু বুঝতে না পেরে তাঁদের কথার ফাঁদে পড়ে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে ঘরে থাকা প্রায় তিন ভরি সোনার গয়না আমি দুই সাধুর হাতে তুলে দিই। এরপর একটি শাড়ির মধ্যে সমস্ত সোনার অলংকারগুলো রেখে শাড়িটিকে বেঁধে দিয়ে 'পোটলা'টি আলমারির লকারের মধ্যে রেখে দিতে বলেন এবং বৃহস্পতিবার বিকেলের পর ওই শাড়িটি খুলে দেখতে বলেন। সেই সঙ্গে এও বলে দেন শাড়িটি খোলার আগে যেন কাউকে কিছু জানানো না হয়।"
দুই 'সাধুর' কথামত গতকাল বিকেলে পাঁচটায় ওই গৃহবধূ শাড়িটি খুলে দেখেন তারমধ্যে কোনওরকম অলংকার নেই। তার বদলে রয়েছে কিছু রুদ্রাক্ষের তাবিজ ও ঠাকুরের মূর্তি। এই দৃশ্য দেখার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন গৃহবধূ। তখন ওই মহিলা বুঝতে পারেন সাধুবেশী দুই দুষ্কৃতী তাঁদেরকে প্রতারিত করে সোনার গহনা লুট করে নিয়ে গেছে।
বিষয়টি জানাজানি হতেই বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরাক্কা থানায় অজ্ঞাত পরিচয় দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মল্লিক দম্পতি। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ফরাক্কা থানার পুলিশ।