• CESC-র বিদ্যুত্‍ মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিজেপিকে মিছিলের অনুমতি হাইকোর্টের!
    ২৪ ঘন্টা | ১৯ জুলাই ২০২৪
  • অর্ণবাংশু নিয়োগী: ২২ জুলাই নয়, ২৬ জুলাই। কলকাতায় বিজেপিকে শর্তসাপেক্ষে মিছিলের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, পরিবেশ বিধি মেনে দুপুর আড়াইটে থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১ হাজার নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করা যাবে। সাধারণ মানুষের অসুবিধা করা যাবে না। আইনৃশৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যান্ত পুলিস কর্মীর মোতায়েন করতে হবে।

    ঘটনাটি ঠিক কী? CESC এলাকায় বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি প্রতিবাদে এবার পথে নামছে বিজেপি। ২২ জুলাই মুরলীধর সেন লেনে দলীয় কার্য়ালয় থেকে ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউস পর্যন্ত মিছিলের পরিকল্পনা করেছিল গেরুয়াশিবির। কিন্তু তৃণমূলের শহিদ দিবসের পরের দিন সেই মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিস। এরপরই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। 

    এদিন মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি  রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে। রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়, 'CESC এলাকায় ইউনিট প্রতি বিদ্য়ুতের মাশুল বাড়ানো হয়নি। ফলে যে সমস্য়ার প্রেক্ষিতে এই মিছিল ও অবস্থান বিক্ষোভে ডাক দেওয়া হয়েছে, সেই সমস্য়াটাই আর নেই'। রাজ্যের সওয়াল, 'বিজেপির তরফে এখনও CESC-র কাছে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। চাইলে সেখানে গিয়ে অভিযোগ জানাতেই পারেন দলের প্রতিনিধিরা'। 

    বিচারপতির পাল্টা প্রশ্ন, 'কীভাবে বা কোন পদ্ধতিতে অভিযোগ জানানো হবে, সেটি কি রাজ্য ঠিক করতে পারে'? তাঁর মন্তব্য়, 'আমাদের কাছেও যখন হাইকোর্টের কর্মচারীরা তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে আসেন, তখন আমরা কিন্তু তাদের দাবিপত্রে কী আছে, সেটা জানতে চাই না। আমরা শুধু কখন আসতে হবে, সেটা জানতে চাই'।

    রাজ্যের তরফে বলা হয়, 'ওয়াই চ্যানেলে অবস্থান বিক্ষোভ করলে কোনও সমস্যা নেই। ওয়াই চ্যানেলের অবস্থান বিক্ষোভ থেকে দাবিপত্র জমা জমা দিতে আসতে পারেন'। বিজেপির পাল্টা সওয়াল, 'যদি ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে কর্মসূচিতে অসুবিধা থাকে, তাহলে আজ থেকে সেখানে সমস্ত দলের কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক'।

    এদিকে প্রতিবছর ২১ জুলাই ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে শহিদ দিবস পালন করে তৃণমূল। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাজ্যের সওয়াল, 'ওখানে একটিমাত্র দল তাদের কর্মসূচি করে, কারণ ওখানে গুলিচালনার ঘটনা ঘটেছিল। ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল'। বিজেপির সওয়াল, 'যাঁদের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁরা কি বর্তমান শাসকদলের কর্মী ছিলেন? তখন বর্তমান শাসক দলের অস্তিত্বই ছিল না। ঘটনার কমপক্ষে ৭ বছর পরে বর্তমান শাসক দলের জন্ম হয়"। শেষে রাজ্যের তরফে বলা হয়, 'কোন কর্মসূচি করতে আমরা বারণ করছি না, কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার তো রাজ্যের আছে'। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)