বিধানসভার নিরাপত্তায় বাড়তি নজর, লাগানো হচ্ছে আরও ২২টি আধুনিক ক্যামেরা
প্রতিদিন | ১৯ জুলাই ২০২৪
অর্ণব আইচ: বিধানসভার নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করতে অতিরিক্ত সিসিটিভি বসাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। লালবাজারের সূত্র জানিয়েছে, বিধানসভার বিভিন্ন কোণে বসানো হচ্ছে মোট ২২ টি আধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা। গত ডিসেম্বর মাসে সাংসদে ‘স্মোক গ্রেনেড’ নিয়ে হামলার পর বিধানসভায় নিরাপত্তা আরও কড়াকড়ি করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিধানসভায় যাতে দর্শনার্থীদের নামে অযাচিত ব্যক্তিরা না প্রবেশ করতে পারে, তার জন্য নজরদারি বাড়ানোর ব্যাপারেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। নজরদারি বাড়ানোর জন্যই লালবাজারের পুলিশকর্তারা বিধানসভায় অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেন। সেই অনুযায়ীই বিধানসভায় ২২টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।
লালবাজারের (Lalbazar) সূত্র জানিয়েছে, মূলত বাইরের লোকেরা যে জায়গাগুলি দিয়ে প্রবেশ করতে পারেন, সেগুলি সমীক্ষা করে দেখা হয়েছে। এ ছাড়াও বাইরে থেকে এসে যদি কেউ লুকিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে চায়, তা-ও যাতে পুলিশের নজরদারির মধ্যে আসে, সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বিধানসভা চত্ত্বরে যাতে কোনও ভিভিআইপি অথবা ভিআইপির নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়, সেদিকেও নজর রাখার জন্য সিসিটিভির উপরই ভরসা করছেন লালবাজারের কর্তারা। লালবাজারের সূত্র জানিয়েছে, ২২টি আধুনিক চার এমপি বুলেট ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই ক্যামেরার ছবি অনেকটাই স্পষ্ট। ক্যামেরার সঙ্গে সঙ্গে তার আনুষঙ্গিক যন্ত্রও কেনা হচ্ছে। থাকছে বুলেট ক্যামেরার ‘ক্যামেরা আর্ম’। ভালভাবে নজরদারির জন্য দুটি ৩২ ইঞ্চির মনিটর কেনা হচ্ছে। যদি কোনও কারণে বিধানসভায় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ও হয়, সেই ক্ষেত্রে যাতে সিসিটিভি বা মনিটরের কাজ বন্ধ না হয়, তার জন্য ৩০ মিনিট ব্যাক আপেরও ব্যবস্থা থাকছে। পুরো ব্যবস্থার জন্য খরচ হচ্ছে প্রায় সোয়া ২১ লাখ টাকা।
পুলিশ জানিয়েছে, বিধানসভার নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা ছাড়াও নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বাড়ানোর জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গত ডিসেম্বর মাসে সিদ্ধান্তের পর থেকে বিধানসভায় দর্শনার্থীদের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি করা হয়েছে। বাইরের কোনও দর্শনার্থী ভিতরে প্রবেশ করলেও দুঘণ্টার বেশি থাকার অনুমতি দেওয়া হয় না। এর বেশি থাকলে সেই ব্যক্তিকে পুলিশের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারে। এমনকী, বিধানসভার সদস্য তথা বিধায়কদেরও নিজেদের গাড়িতে স্টিকার লাগিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে হচ্ছে। বিধায়কের সঙ্গে কেউ থাকলে তাঁকে হেঁটেই প্রবেশ করতে হচ্ছে। এবার অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্যই বসানো হচ্ছে সিসিটিভিগুলি। ইতিমধ্যেই কোন কোন জায়গায় ক্যামেরা বসালে কার্যকর হতে পারে, তা নিয়ে সমীক্ষা হয়েছে। এবার সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি কেনার পর সেগুলি বসানোর কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।