• বিজেপি নেতাকে তৃণমূল অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ
    বর্তমান | ২০ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ঘাটাল: কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে বিজেপি নেতা তথা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যকে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার রাতে ঘাটাল থানার খড়কপুরে ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘাটাল ব্লকের মনশুকা-১  গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সুভাষ মণ্ডল বর্তমানে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তবে তৃণমূলের ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি বিকাশ কর বলেন, ঘাটালে বন্দুক বা বোমা কালচার নেই। ওই পঞ্চায়েত সদস্য চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছিলেন। যাঁরা টাকা পাবেন, তাঁদের সঙ্গেই ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। 


    সুভাষবাবু বলেন, অন্য দিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতেও বাড়ির পাশে খেলার মাঠে ঘোরাঘুরি করছিলাম। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ তৃণমূলের ছ’জন স্থানীয় নেতা ও কর্মী আমাকে ঘিরে ধরে। তাদের মধ্যে একজন আমার কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে তৃণমূলের স্থানীয় কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখান বেড়ধক মারধর করে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। ওই বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, মারধরের সময় তাঁকে এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকা সেই মুহূর্তেই দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। মায়ের শরীর খারাপের নাম করে ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাটকে ফোন করে টাকা চাওয়ার জন্য তৃণমূল নেতারা তাঁকে জোর করে। ওদের কথামতো মায়ের চিকিৎসার নাম করে টাকা দেওয়ার জন্য শীতলবাবুকে ফোনও করতে বাধ্য হন। কিন্তু, শীতলবাবু টাকা দিতে পারেননি। তখন তৃণমূলের নেতারা তাঁকে একটি সাদা কাগজে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছেন বলে সই করিয়ে নেয়। সেই সঙ্গে তাঁর একটি ভিডিও রেকর্ডিংও করে। 


    পুলিস জানিয়েছে, সুভাষ মণ্ডলকে তুলে নিয়ে যাওয়া বা মারধর করার কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে, তাঁর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার একটা অভিযোগ এসেছে। তার তদন্তও শুরু করেছে।
  • Link to this news (বর্তমান)