অত্যন্ত নিম্নমানের মিড ডে মিল, হোগলবেড়িয়ার স্কুলে বিক্ষোভ
বর্তমান | ২০ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, করিমপুর: নিম্নমানের মিড ডে মিল সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে শুক্রবার হোগলবেড়িয়া যাত্রাপুর তারক শিক্ষা নিকেতনে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা। খবর পেয়ে পুলিস আসে। শিক্ষাদপ্তরের আধিকারিক ও পুলিসের আশ্বাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, নতুন প্রধান শিক্ষক স্কুলে আসার পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম শুরু হয়েছে। তাঁদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব প্রধান শিক্ষককে এই স্কুল থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৌম্য মণ্ডল বলেন, আমি এনিয়ে সংবাদ মাধ্যমে কিছু বলব না। যা বলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।
যাত্রাপুর গ্রামের অমিত মণ্ডল, সমীরণ মণ্ডল বলেন, সরকারি নির্দেশ থাকলেও এই প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলে বাচ্চাদের কোনও সব্জি বা ডিম দেওয়া হয় না। মাসে কখনও একদিন সয়াবিন রান্না হলেও তা খুব সামান্য। সবাই তা খেতে পায় না। স্কুলে আটটি শৌচালয় রয়েছে, কিন্তু বাচ্চাদের তা ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না।
আর এক অভিভাবক নুরজাহান বিবি বলেন, প্রধান শিক্ষক সৌম্য মণ্ডল স্কুলে আসার পর বিদ্যালয়ের ভিতরে ও বাইরে জঙ্গলে ভরে গিয়েছে। যে কোনও সাপ, পোকামাকড় ঢুকতে পারে। বাচ্চাদের বড় বিপদ হয়ে যাবে। তাছাড়া উনি কোনও ক্লাস নেন না। সারাদিন মোবাইলে ব্যস্ত থাকেন। বহুবার বলেও কোনও কাজ হয়নি। তাই এদিন বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।
স্কুলের মিড ডে মিল রাঁধুনি ফুলরা মণ্ডল, মানোয়ারা বিবি বলেন, প্রধান শিক্ষক বাজারের দায়িত্বে রয়েছেন। রান্নার কোনও উপাদান তেল, ডাল, মশলা দেন না। তাই সামান্য পরিমাণ জিনিস দিয়েই রান্না করতে হয়। কখনও কখনও ডাল ছাড়া শুধু চাল আর হলুদ দিয়েও খিচুড়ি রাঁধতে হয়। ফলে বাচ্চারা খেতে পারে না। এখানে রান্নার প্রয়োজনীয় বাসনপত্র টুকুও নেই।
স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা জানান, গত ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন প্রধান শিক্ষক যোগ দেওয়ার পর থেকেই বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কোনও সহ শিক্ষকের সঙ্গে উনি ভালো ব্যবহার করেন না। স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৭২ জন হলেও খাবারের মান খারাপ হওয়ায় গড়ে প্রতিদিন ২০জন মিড ডে মিল খায়। অথচ প্রধান শিক্ষক ৬৮-৭০ জনের হিসেব দেখান। করিমপুর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক(মাধ্যমিক) সোমদেব মজুমদার বলেন, শুক্রবার দ্বিতীয়বার স্কুল পরিদর্শনে যাওয়া হয়েছিল। স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়ে দু’বার শুনানি হয়েছে। প্রধান শিক্ষককের কাছে লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিজস্ব চিত্র