সংবাদদাতা, আরামবাগ: একুশে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশে যাওয়ার জন্য বাস নিয়ে চলছে কাড়াকাড়ি। বাস ভাড়া নেওয়ার জন্য একাধিকজন প্রস্তাব দিচ্ছেন। অনেক জায়গায় আবার বাস না পাওয়ার আশঙ্কায় এখন থেকেই দখলে নেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার আরামবাগ-মেদিনীপুর রুটের অধিকাংশ বাস চলেনি। যার জেরে স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী বলেন, এবিষয়ে আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি। যদি বাইরে থেকে কোনও বাস আটকানো হয়, তাহলে আমরা বিষয়টি দেখে দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানাব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকে আরামবাগ-মেদিনীপুরগামী বাস তেমন পাওয়া যায়নি। বহু যাত্রী বাসের অপেক্ষায় বসেছিলেন। এদিন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেল, বয়স্ক এক দম্পতি মেদিনীপুর যাওয়ার জন্য বাসস্ট্যান্ডে বসে রয়েছেন। পাশেই বসে রয়েছেন কোলে বাচ্চা নিয়ে এক গৃহবধূ। তিনি ভোর ৫টা থেকে বসে রয়েছেন রোড চন্দ্রকোণা যাওয়ার জন্য। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ থেকে ১০০ জন বাসযাত্রী মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার জন্য বাসের আশায় বসে রয়েছেন। রমেশ দলুই বলেন, আমি ঘাটাল যাব বলে সকাল ৬টা থেকে আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে এসে বসে রয়েছি। ৭টা বেজে গেলেও বাসের দেখা পাইনি। জানি না কীভাবে বাড়ি পৌঁছব।
সৌরভ দাস বলেন, বাস না পেলে ছোট গাড়ি ভাড়া করেই আমাদের বাড়ি পৌঁছতে হবে। অনেক টাকা খরচ হবে। ২১ জুলাই দেরি রয়েছে। এখন থেকে কেন বাস তুলে নিচ্ছে বুঝতে পারছি না।
বালি দেওয়ানগঞ্জ-আরামবাগ রুটের এক বাস মালিক বলেন, প্রোগ্রামের জন্য এক একজন বাস মালিকের কাছে তিনটে করে চিঠি আসছে। একটা বাস কীভাবে তিনজনকে দেওয়া যাবে? শুনছি মেদিনীপুরে বাস আটকে দিয়েছে। যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। একদিনের স্টাফ খরচ ও তেল দিয়ে বাস ভাড়া নেওয়া হয়। আর বাস আটকে দেওয়া হচ্ছে চারদিন ধরে। এতে প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে।
আরামবাগ মহকুমা লোকাল বাস মিনিবাস মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বৈদ্যনাথ নন্দী বলেন, এক একটি বাস মালিকের কাছে একাধিক চিঠি এসেছে। আমরা ঠিক করেছি প্রথম যারা চিঠি দিয়েছে তাদেরই বাস দেওয়া হবে। অনেক জায়গায় এখন থেকেই বাস আটকে রাখার কথা শুনেছি। আমরা বলেছি আগে পেমেন্ট করতে হবে তারপরই বাস দেওয়া হবে। নিজস্ব চিত্র