সংবাদদাতা, দেওয়ানহাট: দু’বছরের বেশি সময় ধরে বেহাল রাস্তা। ভাঙাচোরা রাস্তা সংস্কারের দাবি তুলে শুক্রবার দুপরে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান কোচবিহার শহরের দুর্গাবাড়ি চত্বরের বাসিন্দারা। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ চলে। পরে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস মেলায় অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। যদিও পুরসভার দাবি, সংস্কারের জন্য টেন্ডার হয়ে আছে। বর্ষার পর সংস্কারে হাত দেওয়া হবে।
দুর্গাবাড়ি মোড় থেকে ধর্মতলা মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি দু’বছর ধরে বেহাল। এটি কোচবিহার শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন দিনহাটা, মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ থেকে আসা যাত্রীবাহী সরকারি ও বেসরকারি বাস চলে। এই রুট দিয়েই গাড়িগুলি বাসস্ট্যান্ডে যায়। এদিন অবরোধের জেরে গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। অন্য রাস্তা দিয়ে যাত্রীবাহী বাসগুলি স্ট্যান্ডে পৌঁছয়।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, দু’বছরের বেশি সময় ধরে বেহাল দুর্গাবাড়ি মোড় থেকে ধর্মতলা মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি। পিচ উঠে গিয়েছে। বড় বড় গর্ত বেরিয়ে এসেছে। ইট বিছিয়ে মাঝেমধ্যে সংস্কার করা হলেও বর্ষায় রাস্তা ফের নষ্ট হয়েছে। বৃষ্টি হলে ওইসব গর্তে জল ভরে যাচ্ছে। এতে রাস্তায় যাতায়াত করা আরও বিপদজ্জনক হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মাঝেমধ্যে যাত্রী সহ টোটো উল্টে যাচ্ছে। বাইক চালকরা দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। পুরসভার মধ্যে থাকা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বছরের পর বছর বেহাল হয়ে থাকলেও দেখার কেউ নেই। স্থানীয় কাউন্সিলার ও পুরসভাকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। স্থানীয় বাসিন্দা অরিজিৎ সাহা, রানা পোদ্দার বলেন, দু’বছরের বেশি সময় ধরে রাস্তাটি ভাঙাচোরা। মরণফাঁদ হয়ে রয়েছে যত্রতত্র। সন্ধ্যার পর এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা মানে দুর্ঘটনার মুখে পড়া। প্রায়ই টোটো উল্টে যাচ্ছে। শহরের মধ্যে রাস্তার এমন হাল হলেও পুর কর্তৃপক্ষ দেখছে না। পুরসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বাধ্য হয়ে আমরা পথ অবরোধ করি। অবিলম্বে রাস্তা সারাই করতে হবে। না হলে আরও বড় আন্দোলন হবে।
এবিষয়ে কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, রাস্তাটি পুরসভা এলাকার মধ্যে হলেও সেটি পূর্তদপ্তরের অধীনে থাকায় তারাই রক্ষণাবেক্ষণ করে। ওই রাস্তার কাজের টেন্ডার হয়ে রয়েছে। বর্ষার জন্য কাজ আটকে। বর্ষা শেষ হলেই কাজ শুরু হবে। নিজস্ব চিত্র