সংবাদদাতা, ইসলামপুর: নজরদারির অভাব বা চূড়ান্ত গাফিলতি না থাকলে কি সরকারি জায়গা দখল করে আস্ত পাড়া বানিয়ে ফেলা সম্ভব? উত্তর খুঁজছেন ইসলামপুরের বাসিন্দারা।
দীর্ঘদিন বিভিন্ন এলাকায় তিস্তা ক্যানেলের পাড় জবরদখল হয়ে আছে। প্রশাসন তাদের না সরানোয় এলাকা দখলের গতি বেড়েছে কয়েকগুণ। আগে অল্প অল্প করে দখল হয়ে এসেছে। অনেকে ঝুপড়ি, টিনের ঘর তৈরি করেছেন। গজিয়ে উঠেছে দু’একটি দোকানও। ইসলামপুর পুরসভা এলাকার কাঠালবাড়ি, নয়াবস্তি, গ্রুজবস্তি সহ একাধিক এলাকায় দেখা যাবে পাড়া তৈরি হয়েছে দখল করা জায়গায়। তবুও প্রশাসন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ। অবিলম্বে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করার দাবিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাংশ বাসিন্দা।
ইসলামপুর মহকুমা শাসক আবদুল সাহিদ বলেন, তিস্তা ক্যানেলের কিছু জবরদখলকারীকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে বৈধ কাগজপত্র না দেখালে নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হবে। ধাপে ধাপে সমস্ত এলাকায় দখলকারীদের নোটিস দিয়ে সরকারি জমি দখলমুক্ত করা হবে।
তিস্তা ক্যানেলের পূর্বপাড়ে রাস্তা আছে। পশ্চিম পাড়ে নেই। পশ্চিম পাড়ে বাড়ি ঘর তৈরি হয়েছে। পূর্ব পাড়ে ছোটখাট চায়ের দোকান, কোথাও আবার রাস্তার পাশে টিন দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে নয়াবস্তি এলাকার বাসিন্দা নওসাদ আলমের কথায়, সেখানে প্রায় ৫০টি পরিবার ক্যানেলের পাড়ে কাঁচা বাড়ি তৈরি করেছে। ওই এলাকার বাসিন্দারা কয়েক বছর আগে ইসলামপুরের হোটেলপট্টি, পুরাতন পাট হাট, তিনপুল সহ বিভিন্ন এলাকায় থাকতেন। তাঁদের অনেকের বাড়িঘর ছিল, আবার কেউ কেউ ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তাঁরাই এক এক করে ক্যানেলের পাড়ে বাড়ি করেছেন।
নয়াবস্তি, গ্রুজ বস্তি, কাঠালবাড়ি পুরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে। স্থানীয় কাউন্সিলার তৃণমূলের নাগিনা বেগমের স্বামী মহম্মদ সরিফ বলেন, ক্যানেলের পাড়ে মানুষজন যখন বসতে শুরু করেছিল, তাদের বাধা দিয়েছিলাম। পরে তারা বলে, অন্যান্য এলাকায় ক্যানেলের পাড় দখল হয়ে আছে। তাদের কেউ কিছু বলে না। খোঁজ নিয়ে দেখি শিয়ালতোরে অনেকে ক্যানেলের পাড়ে বাড়িঘর তৈরি করে বাস করছেন। ফলে কাউকে আর বাধা দিইনি। নিজস্ব চিত্র