বেডে জায়গা নেই, ওয়ার্ড ও করিডরের মেঝেয় পড়ে রোগীরা
বর্তমান | ২০ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: বেডে জায়গা নেই, তাই হাসপাতালে ওয়ার্ডের মেঝে কিংবা করিডরে রেখেই চিকিৎসা করা হচ্ছে রোগীদের। কয়েকদিন ধরে ভাইরাল ফিভার, ডায়ারিয়ার মতো সমস্যা নিয়ে বহু রোগী এসে ভর্তি হয়েছেন নকশালবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। আর এতেই বেকায়দায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ। বেড না থাকায় মেঝেতে বেডশিট পেতে রোগীর চিকিৎসা করা হচ্ছে। এদিকে বর্ষায় মেঝে স্যাঁতসেঁতে থাকায় দুর্ভোগ বাড়ছে রোগীদের।
কেটুগাবুরের বাসিন্দা আল্পনা মাঝি বলেন, পেট ব্যথার সমস্যা নিয়ে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে আসি। চিকিৎসক দেখে ভর্তি থাকার পরামর্শ দেন। তবে ওয়ার্ডে এসে দেখি, কোনও বেড ফাঁকা নেই। বাধ্য হয়ে মেঝেতে শুইয়ে চিকিৎসা পরিষেবা নিচ্ছি। নকশালবাড়ির বাসিন্দা অমিত মণ্ডল বলেন, বুধবার ডায়ারিয়ার সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছি। ২৪ ঘণ্টা পরও বেড পাইনি। মেঝেতে রেখেই চিকিৎসা করা হচ্ছে আমাকে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুষ, মহিলা, শিশু ও লেবার ওয়ার্ড মিলিয়ে নকশালবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে মোট ৫০টি বেডের অনুমোদন রয়েছে। রোগীর কথা ভেবে প্রায় ২০টি বেড অস্থায়ীভাবে বসানো আছে বিভিন্ন ওয়ার্ডে। তবে বর্ষার মরশুমে ডায়ারিয়া, জ্বর-সর্দি নিয়ে রোগী ভর্তির সংখ্যা সম্প্রতি বেড়েছে। বাধ্য হয়ে মেঝেতে রেখে তাই চিকিৎসা করা হচ্ছে।
নকশালবাড়ির বিএমওএইচ কুন্তল ঘোষ বলেন, হাসপাতালে প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এই হাসপাতালের পরিকাঠামো অন্যান্য গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে অনেকটাই উন্নত। তাই অনেকেই চিকিৎসা নিতে আসেন। আমরা কাউকে ফেরাতে পারি না। খুব সঙ্কটজনক অবস্থা হলে শুধুমাত্র রেফার করি। এখানে ৫০টি বেডের অনুমোদন রয়েছে। আমরা পরিস্থিতি সামাল দিতে অস্থায়ীভাবে কিছু বেড রেখেছি। তবে হাসপাতালে দ্বিগুণের কাছাকাছি রোগী এখন ভর্তি। বেড যাতে বৃদ্ধি করা যায়, তারজন্য জেলায় অনেক আগেই আবেদন করা আছে। নিজস্ব চিত্র