সংবাদদাতা,ইসলামপুর: ইসলামপুর মহকুমায় সব্জির দাম যাচাই করতে একাধিক বাজারে টাস্ক ফোর্স নামল। শুক্রবার পাঞ্জিপাড়া ও ডালখোলার সব্জি ও ফল বাজারে অভিযান চালায় টাস্ক ফোর্স। কৃষিজ বিপণন দপ্তরের নির্ধারিত মূল্য অনুসারে ফল ও সব্জি বিক্রি হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা। গোয়ালপোখর ব্লকের অন্যতম বাজার পাঞ্জিপাড়া। পুলিস ও স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে নিয়ে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, বিডিও এদিন পাঞ্জিাপাড়ার সব্জি বাজারে বিভিন্ন সব্জির দাম খতিয়ে দেখেন। বিডিও কৌশিক মল্লিক বলেন, পাঞ্জিপাড়া বাজারে সব্জির দাম খতিয়ে দেখা হয়েছে। সেখানে এগরি মার্কেটিংয়ের নির্ধারিত দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই সব্জি, আনাজ বিক্রি হচ্ছে।
সরকারি নিয়ম অনুসারে খোলা বাজারে প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৪৫ টাকা, আদা ১৬০টা, রসুন ২৪০ টাকা, লঙ্কা ১০০ টাকা, পটল ৬০ টা, করলা ৮০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকা, ঢ্যাড়শ ৪০টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, কুমড়ো ৩০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা, টম্যাটো ১২০ টাকা বিক্রির কথা। কিন্তু নির্ধারিত দাম থেকে একটু বেশি দামই নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিন পাঞ্জিপাড়ার সব্জি বাজারে আলু ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সেখানকার ব্যবসায়ী আব্দুল কাদেরের বক্তব্য, পাইকারি বাজারে আলু ২৮ টাকা দরে কিনতে হয়। এরপর ভ্যান ভাড়া রয়েছে। বস্তা পিছু পচা আলু বাদ দিতে হয়। সবমিলিয়ে ৩১ টাকা কেজি কেনাই পড়ে যাচ্ছে। কী করে ৩০ টাকায় বিক্রি করব। আব্দুলের বক্তব্য, আধিকারিকরা দোকানে এসেছিলেন। তাঁদেরকেও এই কথা বলেছি। অন্যান্য সব্জির ক্ষেত্রে বিশেষ পার্থক্য নেই। তবে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে, যাতে বেশি দর না নেন। গোয়ালপোখর ২ এর বিডিও শ্যামল মণ্ডল বলেন, ‘চাকুলিয়ার সব্জি বাজারে কয়েকটি দোকান নির্ধারিত দামের চাইতে বেশি দাম বলছিল। তাদের সতর্ক করা হয়েছে। যাতে সামঞ্জস্য রেখে বিক্রি করে।’ ডালখোলা পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার সাহাবাজ সোহেল, পুরসভার চেয়ারম্যান স্বদেশ সরকার এবং কাউন্সিলাররা সব্জি বাজারে অভিযান চালান। স্বদেশবাবু বলেন, পাইকারি ও খুচরো বাজারে গিয়ে সব্জির দাম খতিয়ে দেখা হয়। দু-একজন বেশি দামে বিক্রি করছিলেন, তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র