• আলিপুরদুয়ারে ২ তৃণমূল নেতার হাতাহাতি ঘিরে অস্বস্তিতে নেতৃত্ব
    বর্তমান | ২০ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: ধর্মতলার উদ্দেশে দলীয় কর্মীদের বাসে তুলে দেওয়ার সময় আলিপুরদুয়ারে প্রকাশ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই নেতা ভাস্কর মজুমদার ও অনুপ চক্রবর্তী। এই ঘটনায় দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। প্রকাশ্যে দলের দুই নেতার এমন হাতাহাতির ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। 


    ভাস্করবাবু দলের জেলা সভাপতি প্রকাশচিক বরাইক ও দলের চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার ঘনিষ্ঠ। তিনি দলের পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সেলের জেলা সভাপতি। অন্যদিকে, অনুপবাবু দলের শিক্ষক সেলের সদস্য। এসজেডিএ’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ অনুপবাবু শহরের একটি স্কুলের করণিক।


    জানা গিয়েছে, এদিন শহরের কলেজ হল্ট এলাকায় দলের জেলা পার্টি অফিস থেকে আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের পারোকাটা অঞ্চলের দলীয় কর্মীদের একটি বাসে ধর্মতলায় পাঠানোর তোড়জোড় চলছিল। সেসময় সেখানে সৌরভ চক্রবর্তীও ছিলেন। বাসটিকে যখন রওনা করে দেওয়া হচ্ছিল সেই সময় স্কুল যাওয়া নিয়ে দুই নেতার মধ্যে তীব্র কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। অনুপবাবু আচমকা ভাস্করবাবুর চোখে ঘুষি চালিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এতে ভাস্করবাবুর চশমা ভেঙে যায়। পরে সৌরভবাবু ও অন্যান্যরা ছুটে এসে দু’জনকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।


    ভাস্করবাবু বলেন, স্কুল যাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। সেই সময় অনুপবাবু আমার বাম চোখে ঘুষি মারেন। দীর্ঘদিন ধরে দল করি। আমি কোনও গোষ্ঠীতে নেই। এই হামলার কথা দলের জেলা সভাপতি ও দলের জেলা চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। অনুপবাবু বলেন, আমি কাউকে ঘুষি মারিনি। কথা কাটাকাটির সময় হুমকি দিয়ে এগিয়ে আসছিল বলে ভাস্করবাবুকে শুধু সরিয়ে দিয়েছি। দলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশচিক বরাইক বলেন, এটা এমন কোনও বিষয়ই নয়। দু’জনকে কলকাতায় ডেকেছি। দলের জেলা চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, কলকাতা থেকে ফিরে এসে দু’জনকে নিয়ে বৈঠক করে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা হবে। সৌরভবাবু বলেন, ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে দু’জনের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছিল। ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।      
  • Link to this news (বর্তমান)