নিউ চ্যাংরাবান্ধা বাজারে পরিত্যক্ত মুক্তমঞ্চ সংস্কার করে চালুর দাবি
বর্তমান | ২০ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: মাথাভাঙা-২ ব্লকের বড় শৌলমারি পঞ্চায়েতের নিউ চ্যাংরাবান্ধা বাজারের মুক্তমঞ্চটি বহুদিন ধরে পরিত্যক্ত। মঞ্চের সামনের অংশ আগাছায় ঢেকেছে। বিধায়ক এলাকা উন্নয়নের টাকায় মুক্তমঞ্চটি তৈরি করা হলেও সেটি দেখভালের দায়িত্ব স্থানীয় কোনও সংগঠন বা সংস্থাকে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। মঞ্চের মাঠে একটি কমিউনিটি হল তৈরি করা হয়েছে। ফলে মাঠে জায়গার অভাব। যদিও পঞ্চায়েত সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, মুক্তমঞ্চটি সংস্কার করে কোনও দায়িত্বশীল সংগঠনকে দেখভাল করার জন্য দেওয়া হবে।
নিউ চ্যাংরাবান্ধা বাজারের কাছে বাড়ি প্রাক্তন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মনের। ২০১১-’১২ আর্থিক বছরে তাঁর এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় মুক্তমঞ্চটি তৈরি করা হয়। মঞ্চটি উদ্বোধনের পর বেশ কয়েক বছর নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রাজনৈতিক কর্মসূচি হতো। কিন্তু, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধীরে ধীরে মঞ্চ নষ্ট হতে থাকে, পরবর্তীতে তালাবন্ধ করে দেওয়া হয়। মঞ্চের সামনে জন্মেছে আগাছা। সেসব পরিষ্কার করার নেই কেউ। এর মাঝেই কয়েক বছর আগে মাঠেই একটি কমিউনিটি হল তৈরি করা হয়েছে। সেটিরও উদ্বোধন হয়নি এখনও। এনিয়েও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভ রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এলাকায় সারা বছর নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সামাজিক অনুষ্ঠান হয়। মুক্তমঞ্চটি তৈরি করা হলেও সেটি কোনও কাজে আসছে না। সরকারি টাকায় তৈরি মুক্তমঞ্চটি বছরের পর বছর ধরে অবহেলায় পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারে পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
বড় শৌলমারি পঞ্চায়েতের প্রধান জয়ন্ত দে বলেন, নিউ চ্যাংরাবান্ধা মুক্তমঞ্চের দায়িত্বে কারা রয়েছে আমরা তা জানি না। এনিয়ে খোঁজ নেব। মাথাভাঙা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবলু বর্মন বলেন, নিউ চ্যাংরাবান্ধা মুক্তমঞ্চটির সংস্কার করব আমরা। পরবর্তীতে দেখভালের জন্য কাকে দায়িত্ব দেওয়া যায় তা নিয়ে ভেবে দেখব। একইসঙ্গে কমিউনিটি হলঘরটিও উদ্বোধন করে সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এলাকার সাংস্কৃতিক চর্চার প্রসারে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। নিজস্ব চিত্র