• মুরগির মাংসের ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট তুলে নিলেন একদিনেই
    বর্তমান | ২০ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মুরগির মাংসের ট্রেডারদের ডাকা ধর্মঘট একদিনের মধ্যেই প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। ধর্মঘট ডাকার যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল পোলট্রি শিল্পে। অবশেষে প্রবল চাপের মুখে ধর্মঘটীরা পিছু হটতে বাধ্য হলেন বলে মনে করা হচ্ছে। মাংসের জোগান অব্যাহত রাখতে ধর্মঘটিরা যাতে নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন, সে বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।


    গত বৃহস্পতিবার থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি ট্রেডার্স অ্যা঩সোসিয়েশন। তাদের অভিযোগ ছিল, পোলট্রির গাড়ি থামিয়ে পুলিস তাদের হেনস্তা করছে। তার প্রতিবাদে বিভিন্ন দপ্তরে ই-মেল করে তারা। তারপরই ধর্মঘট ডাকা হয় সংগঠনের তরফে। এতটাই আকস্মিকভাবে সেই ধর্মঘট ডাকা হয় যে বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো তিতিবিরক্ত ছিলেন পোলট্রি শিল্পের সঙ্গে জড়িত অন্যান্যরা। আচমকা ধর্মঘট ডাকার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে পোলট্রি ব্যবসার মূল সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি ফেডারেশন। এমনকী প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের কর্তারাও ওই ধর্মঘটের বিষয়ে প্রথমদিকে অন্ধকারে ছিলেন। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ শুক্রবার বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর আমার দপ্তরের আধিকারিকরা বৃহস্পতিবারই ধর্মঘটীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সেখানেই জানিয়ে দেওয়া হয়, পুলিসি হেনস্তার দায় সরাসরি আমাদের দপ্তরের উপর বর্তায় না। এটি মোটর ভেহিকলসের আওতায় পড়ে। আমাদের আধিকারিকরা তাঁদের আশ্বস্ত করেন, বিষয়টি তাঁরা সংশ্লিষ্ট মহলের নজরে আনবেন এবং সমাধানের চেষ্টা করবেন। এরপর ওই দিনই সংগঠনটি আমাদের জানিয়ে দেয়, ধর্মঘট থেকে তারা সরে আসছে। তবে আমরা তাদের বলেছি, নিজেদের দায়িত্বও তাদের সঠিকভাবে পালন করতে হবে।’ দপ্তরকে ধর্মঘট তুলে নেওয়ার কথা সংগঠনের তরফে জানানো হলেও ওই দিন প্রকাশ্যে তারা তা জানায়নি। বরং ধোঁয়াশা তৈরি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে সংগঠনের কর্তারা বলেন, ‘ধর্মঘট উঠছে কি থাকছে, সেই বিষয়টি আমরা সিক্রেট রাখছি।’ সব মিলিয়ে ধন্দ বাড়ে পোলট্রি শিল্প। যেখানে গোটা শিল্পের সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের রুটিরুজি জড়িত, সেখানে কেন সংগঠনটি এতটা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শুক্রবার অবশ্য সংগঠনের তরফে জানানো হয়, ধর্মঘট তুলে নেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)