• স্নাতকের তৃতীয় বর্ষের ষষ্ঠ সেমেস্টার: বিরাটির পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে গায়েব ২১টি খাতা 
    বর্তমান | ২০ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: তৃতীয় বর্ষের ষষ্ঠ সেমেস্টারের পরীক্ষা চলছে। তার মধ্যেই কলেজের পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে উধাও হয়ে গেল ২১টি খাতা। বৃহস্পতিবার বিরাটির মৃণালিনী দত্ত মহাবিদ্যালয়ের এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিপাকে পড়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ নিমতা থানার দ্বারস্থ হয়েছে। রহস্যের কিনারা করতে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে পুলিস। তবে এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষদে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। পুলিস জানিয়েছে, কলেজের অধ্যাপকদের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। প্রয়োজনে ছাত্রছাত্রী ও পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্যদের সঙ্গেও কথা বলা হবে। কলেজের অধ্যক্ষা সুদেষ্ণা লাহিড়ি বলেন, ‘গতকাল কলেজে পরীক্ষা ছিল। বেশ কিছু পরীক্ষার খাতা পাওয়া যাচ্ছে না। থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিস তদন্ত করছে।’ 


    বারাসত স্টেট ইউনিভার্সিটির স্নাতকস্তরের পরীক্ষা চলছে এখন। বিরাটির মৃণালিনী দত্ত মহাবিদ্যালয়ে দমদমের মতিঝিল রবীন্দ্র মহাবিদ্যালয় সহ তিনটি কলেজের পরীক্ষা পড়েছিল। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। বাণিজ্য বিভাগের রিসার্চ এন্ড প্রজেক্ট ওয়ার্কের পরীক্ষা চলছিল কলেজের তিনতলার একটি রুমে। মোট ৬৩জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। পরীক্ষা শেষে খাতা জমা দিয়ে ছাত্রছাত্রীরা বেরিয়ে যান। সূত্রের খবর, তখন দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপকরা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও জমা পড়া খাতার সংখ্যা মিলিয়েও দেখেছিলেন। তখনও সব ঠিক ছিল। খাতাগুলি ইউনির্ভাসিটিতে পাঠানোর আগে প্যাকেট করতে গিয়ে দেখা যায়, ২১টি খাতা কম। তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সংশ্লিষ্ট সব মহলে। কলেজ কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সূত্রের খবর, এই ঘটনার সঙ্গে কলেজের কোনও প্রভাবশালীর যুক্ত থাকার সম্ভাবনা প্রবল বলে মনে করছেন কেউ কেউ। পরীক্ষা খারাপ হয়েছিল বলেই কি পরিকল্পনামাফিক বাছাই করা ২১টি খাতা সরানো হল? নাকি পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপকদের বিপদে ফেলতে এমন ষড়যন্ত্র? উঠছে নানা প্রশ্ন। আরও জানা গিয়েছে, হারিয়ে যাওয়া খাতাগুলির সিংহভাগই দমদমের মতিঝিল রবীন্দ্র মহাবিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের। যদিও ওই কলেজের অধ্যক্ষ অরিজিৎ সাহা বলেন, ‘আমার কলেজের ছাত্রছাত্রীর খাতা মিসিং হয়েছে, এই প্রথম শুনলাম।’ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি বাণীব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। কারণ এর সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ জড়িত। আমরা চাই, দ্রুত এর সমাধান হোক।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)