• বিএসিতে নেই শারদ পাওয়ারের এনসিপি এবং লালুর আরজেডি
    বর্তমান | ২০ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের অষ্টাদশ লোকসভার দ্বিতীয় অধিবেশন। আর তার আগেই মোদি বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে দুর্বল করার অভিযোগ উঠল। সংসদের কার্যবিবরণী উপদেষ্টা কমিটি (বিজনেস অ্যাডভাইসারি কমিটি বা বিএসি) নিয়ে রাজনৈতিক মহলে উঠছে প্রশ্ন। লোকসভায় এই কমিটি গড়েন স্পিকার। পদাধিকারবলে তিনিই এই কমিটির চেয়ারম্যান। বাকি থাকে ১৪ জন সদস্য। 


    সভায় কোন বিল নিয়ে কতক্ষণ আলোচনা হবে, কী কী বিল আসছে, অন্য কোন ইস্যুতে চর্চার জন্য কত সময় দেওয়া হবে, কবে হবে আলোচনা ইত্যাদি ঠিক করার দায়িত্ব বিএসির। সাধারণত সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিকেই রাখা হয় কমিটিতে। কিন্তু এবার যে কমিটি তৈরি হয়েছে, সেখানে মোদি বিরোধী ইন্ডিয়ার দুই শরিক এনসিপি (শারদ পাওয়ার) এবং লালুপ্রসাদের দল আরজেডির কোনও প্রতিনিধিকেই রাখা হয়নি। নেই আম আদমি পার্টিরও কোনও প্রতিনিধি। অথচ ১৪ জনের কমিটিতে ছ’জন বিজেপির সাংসদ। রয়েছেন তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিএমকে’র দয়ানিধি মারান, কংগ্রেসের গৌরব গগৈ এবং কে সুরেশ, সমাজবাদী পার্টির লালজি ভার্মা, উদ্ধব থ্যাকারেপন্থী শিবসেনার অরবিন্দ সওয়ান্ত। ব্যস, এনডিএ সরকার বিরোধী দলের আর কোনও সাংসদ নেই। অথচ বিজেপির অনুরাগ সিং ঠাকুর, পিপি চৌধুরী, সঞ্জয় জয়সওয়াল, নিশিকান্ত দুবে, বৈজয়ন্ত পাণ্ডা এবং ভতৃহরি মেহতাবের মতো বিজেপির ছ’জনকে করা হয়েছে সদস্য। সরকারের শরিক দল নীতীশকুমারের জেডিইউ এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপির দুই সাংসদকেও করা হয়েছে বিএসি’র সদস্য। 


    ফলে কমিটিতে সরকার পক্ষেই পাল্লা ভারী। তাই লোকসভায় বিরোধীদের কোনও কথাই গ্রাহ্য হবে না বলেই অভিযোগ। এই কমিটির গঠনের পুরো অধিকার স্পিকারের হলেও বিষয়টি নিয়ে তাই সোমবার থেকে শুরু হতে চলা অধিবেশনে বিরোধীরা ওম বিড়লার কাছে নালিশ জানাবে বলেই খবর। 
  • Link to this news (বর্তমান)