‘দিদির জন্য চলে এলাম দু’দিন আগেই’, সল্টলেকে হাজির উত্তরবঙ্গের হাজার হাজার তৃণমূল কর্মী
বর্তমান | ২০ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: রবিবার ২১ জুলাই। তৃণমূলের শহিদ দিবস পালন অনুষ্ঠান। যোগ দিতে উত্তরবঙ্গ থেকে একেবারে শেষ মুহূর্তে কলকাতায় আসার ঝুঁকি নেননি অনেক কর্মী-সমর্থক। দু’দিন আগেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে সল্টলেক বইমেলা প্রাঙ্গণে হাজির হলেন হাজার হাজার কর্মী। বৃহস্পতিবার রাত থেকে হ্যাঙ্গার, ক্যাম্পে এসে ভিড় জমিয়েছেন কর্মীরা। শুক্রবার সকাল থেকে সেই ভিড় বদলে যায় জনস্রোতে। তবে তাতে সমস্যা হয়নি। সল্টলেকে বইমেলা প্রাঙ্গণে প্রায় ৩০ হাজার কর্মীর থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শুক্রবার ভোররাতে কলকাতায় এসে পৌঁছন মহেন্দ্র রায়। বাড়ি জলপাইগুড়ি। দুপুরে খাওয়াদাওয়া করার পর তিনি বলেন, ‘আমরা উত্তরবঙ্গে থাকি। শনিবারও আসা যেত। কিন্তু আগের দিন আসা মানে খুবই ঝুঁকি। যদি আচমকা ট্রেন বাতিল হয়ে যায়? যদি না আসতে পারি? তাই দিদির জন্য দু’দিন আগেই চলে এলাম। ফাঁকায় ফাঁকায় চলে এসেছি। রবিবার ভোরেই সমাবেশে চলে যাব’। আলিপুরদুয়ারের তপন দেবনাথদের মন ভারাক্রান্ত। প্রায় ৫০ জন শিয়ালদহ পর্যন্ত একসঙ্গেই এসেছিলেন। জনা ২০ ঘুরতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসা করিয়ে পুলিস অবশ্য বইমেলা প্রাঙ্গণেই পৌঁছে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘সবাই একসঙ্গে এসেছি। আমরা বইমেলা প্রাঙ্গণে চলে এসেছিলাম। পরে শুনছি, ওঁদের দুর্ঘটনা ঘটেছে’।
মেলা প্রাঙ্গণের বাইরে রীতিমতো ‘উৎসবে’র ছবি। পসরা সাজিয়ে বসেছেন অস্থায়ী বিক্রেতারা। সেখানে তৃণমূল কর্মীরা এসে জিনিসপত্র কিনছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ছবি থেকে ব্যাগ, হাতা, খুন্তি, কী নেই? অনেকে ছোট ছোট উপহার কিনছেন বাড়ি নিয়ে যাবেন বলে। মেলা প্রাঙ্গণের অনুসন্ধান কেন্দ্রে অনবরত ঘোষণা চলছে, উত্তরবঙ্গ থেকে আগত কর্মীরা নাম নথিভুক্ত করিয়ে হ্যাঙ্গারে যান। পাশেই রয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প। বহু কর্মী সেখানে শরীর চেকআপ করাচ্ছেন। অনুসন্ধান কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে এদিন দুপুরে এক কর্মী বললেন, প্রায় হাজার দশেক কর্মী চলে এসেছেন। শনিবার সকালের মধ্যে সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।