• সাদ্দাম বাহিনীর দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ, পয়তারহাটে বাজে না বিয়ের সানাই, অনুষ্ঠান হয় অন্য গ্রামে
    বর্তমান | ২০ জুলাই ২০২৪
  • সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বারুইপুর: পয়তারহাট নাম শুনলেই আতঙ্কে থাকেন সংলগ্ন বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা। নেপথ্যে কুলতলির সম্রাট সাদ্দাম সর্দার ও তার দলবল। তাদের  দৌরাত্ম্যে ভয়ে ভয়ে থাকতেন সাধারণ মানুষ। সেকথা অজানা ছিল না অন্যান্য পাড়াতেও। ভালো জায়গা থেকে এই গ্রামের কোনও মেয়ের বিয়ের জন্য সম্বন্ধ এলেও পয়তারহাট শুনেই ছেলের বাড়ি থেকে তা বাতিল করে দেওয়া হতো। তাঁদের আশঙ্কা, পয়তারহাট সাদ্দামের এলাকা। ওখানে বিয়ে ঠিক হলেও আয়োজনই করা যাবে না। সব লুট করে নেবে সাদ্দাম বাহিনী। ফলে এখানে সানাই বাজতে শোনা যায়নি বহু বছর। আর গ্রামের মেয়েদের বিয়ে ঠিক হলেও সেই পরিবারকে অনুষ্ঠানের আসর বসাতে যেতে হতো জয়নগর বা অন্য কোনও জায়গায়।  


    ঠিক যেন সিনেমা। গ্রামে বিয়ের আসর বসলেই ডাকাত দল আক্রমণ করে সর্বস্ব লুট করে চলে যেত। পয়তারহাটেও সেই আতঙ্ক গ্রাস করেছিল বাসিন্দাদের। এই গ্রাম লাগোয়া মালিপাড়া, কেওড়াখালি, চাঁদপুর, বটতলা এলাকার মানুষ দিন-দুপুরে পয়তারাহাট এলাকার রাস্তা দিয়ে যেতে ভয় পান।  কোনও বিয়ের অনুষ্ঠান করতে দু’বার ভাবতে হয় সাধারণ মানুষকে। তাঁরা বলেন, আমাদের গ্রামের মেয়েদের বিয়ে ঠিক হলেও তা কেটে যায়। এক প্রবীণ বাসিন্দার কথায়, দিনে দুপুরে বন্দুক উঁচিয়ে ঘুরে বেড়াত সাদ্দাম। ওর কাছে গুলি চালানো কোনও ব্যাপার নয়। কত ছিনতাই-লুট যে করেছে তার কোনও হিসেব নেই। সাদ্দাম বাহিনীর খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই অনেকেই এখানে বিয়ে ঠিক করতে ভয় পায়। শাসকদলের এক নেতা ও পুলিসের একাংশের জন্য এদের এত বাড়বাড়ন্ত। মেয়েদের বিয়ে দিতে এখানে কম ঝক্কি পোহাতে হয় না।
  • Link to this news (বর্তমান)