সংবাদদাতা, বারুইপুর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরেও বারুইপুরে আলু-পেঁয়াজ থেকে সব্জির দাম আকাশছোঁয়া। বাজার করতে গেলে নাভিশ্বাস উঠছে মানুষের। অভিযোগ, বাজারে প্রশাসনের নজরদারি লোকদেখানো। কেননা তারপরেও দাম কমেনি বাজারগুলিতে।
টানা কয়েকদিন ধরেই সব্জির দরে আগুন লেগেছে। অনেকের সাধ্যের বাইরে চলে গিয়েছে রান্নাঘরের অতি প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সব্জি। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, দশদিনের মধ্যে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কিন্তু সেই নির্দেশকে থোড়াই কেয়ার করে যে যার মত আলু- পেঁয়াজ, সব্জির দাম নিচ্ছেন। বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল সংলগ্ন বাজারে কয়েকদিন ধরে লাগামছাড়া দর চললেও এখানে প্রশাসনের কোনও নজরদারি নেই বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। এই বাজারেই পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কিলোয়, বরবটি ৭০ টাকায়, লঙ্কা ২০০ টাকা কিলো, বিনস ১০০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, কুমড়ো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কিলোয়। আর কোনও বিক্রেতা আলুর দাম নিচ্ছেন ৩৪ টাকা কেজি, কেউ নিচ্ছেন ৩৬ টাকা।
স্থানীয় বাসিন্দা কাজল হালদার বলেন, কিছুই দাম কমেনি। সব্জির এত দাম হওয়ায় আমাদের খুব অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মানা হচ্ছে না। একই অবস্থা বারুইপুর থানার সামনে কাছারি বাজারে। সেখানে কয়েকদিন আগে প্রশাসন থেকে নজরদারি হয়েছে। কিন্তু বিক্রেতাদের অভিযোগ, সেটা লোকদেখানো নজরদারি। আলু, পেঁয়াজের কোনও দাম কমেনি। আলু কেউ ৩৪ টাকা, কেউ ৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। পেঁয়াজের দাম ৪৮ টাকা থেকে শুরু করে ৫৬ টাকা নেওয়া হচ্ছে। সব্জির দামও লাগামছাড়া। যদিও বিক্রেতাদের দাবি, দাম কম নেওয়া হচ্ছে। পুরাতন বাজারেও সব্জির দাম ঊর্ধ্বমুখী। সুজিত ঘোষ বলে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সব্জি থেকে শুরু করে আলু– সব দাম সাধারণের নাগালের বাইরে। অবিলম্বে প্রশাসনের পদক্ষেপ করা উচিত।