• ক্যান্সার যুঝেও পিএইচডি–তে মগ্ন সুহেল
    আজকাল | ২০ জুলাই ২০২৪
  • সব্যসাচী সরকার:‌ মা ও ছেলের এক আশ্চর্য লড়াইয়ের কাহিনি। কিডনি প্রতিস্থাপন, দু’‌পায়ে অপারেশন, শেষে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে এক মেধাবী এখন পিএইচডি–‌র কাজে মগ্ন। তাঁর আত্মপ্রত্যয় এবং উদ্যমের পাশাপাশি সেই মেধাবীর মায়ের ভূমিকাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন বহু মানুষ।

    সুহেল কিন্তু অদম্য। এ সমস্ত যেন তাঁর কাছে কোনও সমস্যাই নয়। ৩২ বছরের জীবনে এত ওঠাপড়া গায়ে লাগতে দেননি তাঁর মা। পরস্পর পরস্পরকে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে সাহস দেওয়ায় যেন পরিপূরক ভূমিকায়। কথায় কথায় মহুয়াদেবী জানালেন, ‘‌বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কলামিস্ট সুহেল শেঠের লেখা খুব ভাল লাগত। তাই ওর নাম রেখেছিলাম সুহেল।’‌ সুহেল বললেন, সান্দাকফু ট্রেকিংয়ে গিয়েছিলেন। হিমাচল, গোয়া, কালিম্পং কখনও বন্ধুদের সঙ্গে, কখনও মায়ের সঙ্গে। সিন্থেসাইজার বাজাতেন এক সময়। এখন গবেষণার কাজে সময় দিতে হয়। তিনি নিজের ঘরে ল্যাপটপ খুলে কাজের জগতেই ডুবে থাকেন। মহুয়া মজুমদার বললেন, ‘‌আমাদের এই লড়াইয়ে বহু চিকিৎসক ও পাড়া–প্রতিবেশীদের কাছে পেয়েছি।’‌ আগামী ডিসেম্বরে সুহেলের আর এক দফা শারীরিক পরীক্ষা হবে। কিন্তু এ–‌‌সব তঁার কাছে তুচ্ছ। তিনি তো ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে চলেছেন। ঠিক তেমনই সন্তানকে বড় করার জন্য সব সময়ই সাহস জুগিয়েছেন তাঁর মা। এই লড়াইয়ে দু’‌জনে যেন যুগ্মজয়ী। মহুয়াদেবী বললেন, ‘‌আমাদের পাশে বরাবর থেকেছেন ডাঃ সুদীপা মুখার্জি, ডাঃ সৌমেন্দ্রনাথ মণ্ডল, ডাঃ সৌরভ দত্ত, ডাঃ হর্ষ ধর, ডাঃ শিঞ্জিনী দাস। এঁরা না থাকলে আমি লড়াই করতে পারতাম না।’‌ সাহসী এই মায়ের প্রশ্ন, ‘‌আমি চাই যদি নিয়ম এ–‌রকম করা যায়, আমার পেনশনের অংশ আমার অবর্তমানে সুহেল পাবে, তা হলে আমি শান্তি পাব। এখন খুব চাইছি, ও একটা চাকরি পাক। তা হলেই আমার লড়াই সার্থক হবে।‌‌’‌‌
  • Link to this news (আজকাল)