মৃত্যুঞ্জয় দাস: গ্রাম লাগোয়া এলাকা থেকে মাশরুম সংগ্রহ করে ১৩ শিশু। তারপর সে নিজেরাই আইসিডিএস-এর রান্নাঘরে রান্না করে তাঁরা। খেয়েদেয়ে যে যার বাড়িতেও চলে যায় তাঁরা। কিছুক্ষণ পর থেকেই শুরু হয় বমি, পেট ব্যথা ও মাথা ঘোরা।
ঘটনাটি ঘটে, গতকাল রাতে।
একের পর এক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় রাইপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। পরে তাদের বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনা বাঁকুড়ার রাইপুর ব্লকের মাম্যুড়া গ্রামের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল আইসিডিএস কেন্দ্র ছুটির পর মাম্যুড়া গ্রামের একদল শিশু গ্রাম লাগোয়া এলাকায় মাশরুম সংগ্রহ করে নিয়ে যায় ওই আইসিডিএস কেন্দ্রে। সেখানে তারা নিজেরাই মাশরুম রান্না করে খায়। এরপর সকলেই নিজের নিজের বাড়িতে ফিরে যায়। পরে একের পর এক শিশু অসুস্থ হতে শুরু করে। বমি, পেট ব্যাথা ও মাথা ঘোরা উপসর্গ শুরু হয় গ্রামের ১৩ জন শিশুর।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি অসুস্থ শিশুদের রাইপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাদের বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই আপাতত চিকিৎসা চলছে ওই ১৩ জন শিশুর। প্রাথমিকভাবে অভিভাবকদের অনুমান শিশুরা ঠিকমতো শনাক্ত করতে না পারায় মাঠ থেকে বিষাক্ত মাশরুম সংগ্রহ করে ফেলেছিল। লুকিয়ে সেই বিষাক্ত মাশরুমই রান্না করে খাওয়ার ফলেই এই বিষক্রিয়া ঘটেছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই রায়গঞ্জে এক অজানা পোকার আতঙ্ক ছড়ায়। জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জের কুলিক নদী লাগোয়া দেবীনগর, বীরনগর, শক্তিনগর, পশ্চিম বীরনগর এলাকার ২২, ২৩, ২৬, ২৭, ৮, ৯ ওয়ার্ডে প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। শুধু তাই নয়, রায়গঞ্জের সোহারই এলাকায় এই অজানা পোকার কামড়ে এই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া থেকে গৃহবধু প্রত্যেকেই আক্রান্ত।
এদিকে বর্ষার সময়ে এমনিতেই শহরে ঝোপঝাড় বাড়ে। চিকিত্সকরা রীতিমতো দিশেহারা। প্রথমে তাঁরা ভেবেছিলেন, ভাইরাস বা ছত্রাকজনিত কারণে হয়তো এমনটা হচ্ছে। কিন্তু এখন চিকিত্সকদের দাবি, অজানা কোনও পোকার আক্রমণেই এই ঘটনা। রায়গঞ্জ পুরসভার অবশ্য দাবি, ঝোপঝাড় বাড়লেও তা নিয়ন্ত্রণে সাফাই অভিযান চলছে।