টাকার বিনিময়ে মুক্তি! ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন বাংলাদেশ ফেরত পড়ুয়া
প্রতিদিন | ২০ জুলাই ২০২৪
অভ্রববরণ চট্টোপাধ্য়ায় ও বিক্রম রায়: অশান্ত বাংলাদেশ। মৃত শতাধিক। এমন পরিস্থিতিতে উত্তরের ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফিরতে শুরু করেছে বহু পড়ুয়া। তাঁদের মধ্যে যেমন ভারতীয় ছাত্রছাত্রী রয়েছে তেমনই রয়েছে নেপাল-ভুটানের পড়ুয়ারাও। দেশে ফিরে শোনালেন বাংলাদেশ থেকে ফেরার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। রাস্তায় রাস্তায় অবরোধ। গাড়ি আটকে টাকা তুলেছেন স্থানীয়রা। সেই টাকা দিয়েই অবশেষে এদেশে ঢুকতে পেরেছেন তাঁরা।
শনিবার শিলিগুড়ি পৌঁছছেন নেপালের বাসিন্দা অস্মিতা কারগি। বাংলাদেশেরহ গোপালগঞ্জে গিয়েছিলেন ভেটনারি মেডিসিন পড়তে। সেখানে অশান্তি না থাকলেও জারি হয়েছে কারফিউ। অস্মিতা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে চেয়েছিল, কিন্তু ভরসা করে থাকতে পারেননি তাঁরা। নেপালের প্রায় ১০ জন পড়ুয়া গাড়ি বুক করে ভারতে চলে আসার পরিকল্পনা করেন। সেই মতো রওনা দিয়েছিলেন। হাইওয়ের বদলে ভিLরের রাস্তা ধরে ফিরছিলেন। কিন্তু জায়গায়-জায়গায় রাস্তা অবরোধ করেছিলেন স্থানীয়রা। অস্মিতার অভিযোগ, “গাড়ি আটকে টাকা তোলা হচ্ছিল। সেই টাকা দিয়ে অবশেষে আসতে পেরেছি।” নেপালের আরেক পড়ুয়া লালন ঠাকুরও গিয়েছিলেন বি ফার্মা পড়তে। তিনিও এদিন ভারতে চলে এসেছেন। তাঁর কথায়, মূল ঝামেলা হচ্ছিল শহরাঞ্চলে। তবে পরিস্থিতি আরও জটিল হলে ওখানে আটকে পড়তাম। তাই ফিরে এলাম।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত দুদিনে চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত দিয়ে ৪৬ জন ডাক্তারি পড়ুয়া ভারতে এসেছেন। এদের মধ্যে ভারতীয়দের পাশাপাশি, নেপাল,ভুটান, মলদ্বীপের ছাত্রছাত্রীরা রয়েছেন। আবার ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ফিরেছেন ২০ জন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ অবশ্য আত্মীয়র বাড়িতে গিয়েছিলেন। পরিস্থিতির অবনতি হতেই অন্যের বাইকে চড়ে তড়িঘড়ি দেশে ফিরেছেন। আবার বাংলাদেশ থেকে ছেলেকে নিয়ে শিলিগুড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন মহম্মদ কামালউদ্দিন। গত কয়েক দিন ধরে বাড়িতে যোগাযোগ করতে পারেননি। বাড়িতে মোবাইল ইন্টারনেট বা ওয়াইফাই কিছুই কাজ করছিল না। ফলে কথা বলতে পারেননি। শনিবার তড়িঘড়ি দেশে ফিরছেন। আপনজনেরা কীভাবে রয়েছেন, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তিনি।