• সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের গাছ অবৈধভাবে কাটালেন চিকিৎসক! প্রতিবাদ স্থানীয়দের, চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানে
    প্রতিদিন | ২০ জুলাই ২০২৪
  • সৌরভ মাজি, বর্ধমান: স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেশ কয়েকটি গাছ বেআইনিভাবে কাটার অভিযোগ উঠল স্বাস্থ্যকেন্দ্রেরই ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে শনিবার সকালে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের নবগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। বেআইনিভাবে গাছ কাটার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন গ্রামবাসীরা। গাছটি কাটার কারণ ও সেই জায়গায় নতুন গাছ না লাগালে, কাটা গাছের অংশ তুলতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ঠিক মতো চিকিৎসা না করার অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দারা। অভিযুক্ত আধিকারিক ও চিকিৎসককের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, গোষ্ঠীর বনসৃজন প্রকল্পের অধীনে নবগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বেশ কয়েকটি গাছ লাগানো হয়। আশেপাশের গ্রাম থেকে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীরা সেই গাছের তলাতেই বিশ্রাম নেন। কিছুদিন আগে হাসপাতালের উন্নতিকরণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে একটি গাছ কাটা হয়। সম্প্রতি আরও একটি গাছ কাটা হয়। যার কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাঁদের দাবি, এই কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ (BMHO) ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক। কাটা গাছের অংশ তুলতে বাধা দিয়ে বিএমওএইচের নামে পোস্টার পড়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।

    স্থানীয় বাসিন্দা বসন্ত পাগড়ে বলেন, “যে গাছটি কাটা হয়েছে তা বেশ পুরনো। গোষ্ঠীর বনসৃজন প্রকল্পের অধীনে এই গাছ রোপণ করা হয়। আশেপাশের প্রায় ১০-১২টি গ্রামের বাসিন্দারা চিকিৎসা করাতে এসে এই গাছের তলায় বসেন। অবৈধভাবে, গায়ের জোরে গাছটি কেটে ফেলা হল। আমরা বাধা দিয়েছিলাম। কর্ণপাত করা হয়নি। এই ঘটনায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক শিলাদিত্য রাউত যুক্ত আছেন। প্রশাসনকে অন্ধকারে রেখে এই গাছ কাটা হয়েছে। আমরা এর প্রতিকার চাই।”

    দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক শিলাদিত্য রাউতের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে গাছ কাটার পাশাপাশি চিকিৎসায় অবহেলারও অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা বলেন পূর্নিমা মুর্মু বলেন, ” এখন যে ডাক্তারবাবু এসেছেন তিনি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে ঘোমান। কী বলেন, কী লেখেন কিছুই বুঝতে পারি না। উনি কিছুই জিজ্ঞাসাই করেন না। এখানে এসে শুধু ঘোমান।”

    স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আরও এক চিকিৎসক চন্দন মজুমদার বলেন, “এই গাছ কাটার কোনও খবর আমার কাছে নেই। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জেনেরেটার বসানো হচ্ছে। গাছের ডাল পরে সেই জেনারেটর নষ্ঠ হতে পারে সেই আশঙ্কায় একটি গাছ অনুমতি নিয়ে কাটা হয়েছে। তবে যে গাছ কাটা নিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ,  সেই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। গ্রামবাসীরা লিখিত অভিযোগ জানালে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)