দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: প্রাসাদসম বাড়ি। পোষ্য ঘোড়া, কচ্ছপ। সোনারপুরে শিকলে বেঁধে মহিলাকে নির্যাতনের ঘটনায় শোরগোলের পর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান জামালউদ্দিন সর্দার। কমপক্ষে মাসছয়েক গা ঢাকা দেওয়ার ছক কষেছিলেন। আর সে কারণে ব্যবহার করতে শুরু করেছিলেন মাস্ক। বার বার বদলান সিম কার্ড। কিন্তু নতুন সিম কার্ড থেকে শাশুড়িকে ফোন করতে গিয়ে মোবাইল টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরে গ্রেপ্তার জামাল।
ঘুঁটিয়ারি শরিফ এলাকায় শ্বশুরবাড়ি জামালের। মঙ্গলবার নিজের সাম্রাজ্য ছেড়ে শ্বশুরবাড়ির কাছে চলে যায়। সেখানে একটি জঙ্গলে রাত কাটান। ভোরবেলা মুখে মাস্ক পরে বেরিয়ে পড়েন। ট্রেন ধরে বিধাননগর স্টেশনে পৌঁছন। পরিচিতর সঙ্গে দেখা করেন। বুধবার সেখানেই ছিলেন। বৃহস্পতিবার ফের জায়গা বদল। সোনারপুরের মিলনপল্লিতে পৌঁছন। প্রথমে ভেবেছিলেন আত্মসমর্পণ করবেন। আইনজীবীর কথা শুনে জামাল ফের এলাকা ছাড়েন। ডানকুনিতে চলে যান। এদিকে, জামালের স্ত্রী-সন্তান চলে যান ঘুঁটিয়ারি শরিফে।
মোবাইল টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা যেতে পারে বলেই আশঙ্কা দানা বাঁধে। তাই বার বার সিম কার্ড বদল করতে শুরু করেন জামাল। স্ত্রী-সন্তানের খোঁজ নিতে সিম বদলে শাশুড়িকে ফোন করেন তিনি। তাতেই বিপদ বাড়ে সোনারপুরের জামালের। এক শ্যালককে সোনারপুর থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে জেরা করে পুলিশ। তাকে জেরা করে জামালের সম্ভাব্য আস্তানার খোঁজ পায় পুলিশ। শুক্রবার সন্ধে সাতটা নাগাদ অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ে জামাল। শনিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় তাঁকে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জামালকে জেরার পরিকল্পনা তদন্তকারীদের।